মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পোস্টকার্ড পাঠাচ্ছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূলের সমর্থকেরা আবার পাল্টা ‘জয় হিন্দ, জয়বাংলা’ লিখে পোস্টকার্ড পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। রাম-নাম নিয়ে এই প্রতিযোগিতার মধ্যেই এ বার বেকার যুবকদের দিয়ে চাকরির দরখাস্ত নবান্নে পাঠানোর কৌশল নিল যুব সিপিএম।
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ৮৮ লক্ষ কর্মসংস্থান করেছে বলে অতীতে বিধানসভায় তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেই তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করেছে বিরোধীরা। সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের নতুন কর্মসূচি চাকরির আবেদনপত্র পূরণ করে সরকারকে পাঠানো। জেলায় জেলায় আপাতত এই আবেদনপত্র পূরণ করা চলবে। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রের কথায়, ‘‘যারা ‘জয় শ্রীরাম’ বা ‘জয় হিন্দ’ নিয়ে ব্যস্ত আছে, থাকুক। তরুণ প্রজন্মের কাছে সব চেয়ে বড় চিন্তার বিষয় কর্মসংস্থান। আমরা জেলায় জেলায় শিবির খুলে তরুণ প্রজন্মকে দরখাস্ত জমা দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। ওই সব আবেদনপত্র নবান্নে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’ আবেদনপত্রে লেখা থাকছে, চাকরির ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ৬ হাজার টাকা করে বেকার ভাতা দিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি ‘বখাটে’ ছেলে-মেয়েদের তৃণমূলের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের সরকারের কোনও না কাজে লাগিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। সায়নদীপের মন্তব্য, ‘‘বখাটে বলে তো কোনও যোগ্যতা হয় না! শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জানিয়েই আমাদের আবেদনপত্র যাবে।’’ রাজ্য সরকার বলেছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগও আবার শুরু হবে। ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, এসএসসি-তে নিয়োগের নামে ফের ‘টাকার খেলা’ চালু হলে পরিণতি মারাত্মক হবে।