বলার মতো আছেটা কী, নটেগাছ মুড়োল

ঘটনা: ডিসেম্বরের মাঝামাঝি মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের নতুন ছবি। আর এর মধ্যেই এ রাজ্যে ব্যবসা করে ফেলেছে দশ কোটি টাকার। প্রত্যাশা, শেষমেশ অঙ্কটা অন্তত দ্বিগুণ হবে।

Advertisement

দেবাশিস ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৯
Share:

ঘটনা: ডিসেম্বরের মাঝামাঝি মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের নতুন ছবি। আর এর মধ্যেই এ রাজ্যে ব্যবসা করে ফেলেছে দশ কোটি টাকার। প্রত্যাশা, শেষমেশ অঙ্কটা অন্তত দ্বিগুণ হবে। হিসেবটা আরও একটু বাড়িয়ে নিলে দেখা যায়, তিন খান— শাহরুখ, সলমন, আমিরের ছবি গত এক বছরে এখানে ব্যবসা করেছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার। একই সময়ে ১০১টি বাংলা ছবির মোট ব্যবসার পরিমাণ টেনেটুনে ৪৫ কোটি।

Advertisement

লক্ষণটা স্পষ্ট। এখানে দর্শক আছে। বাঙালি দর্শকও। কিন্তু তাঁরা বাংলায় তৈরি ছবি দেখেন না।

ঘটনা: পাঁচ বছরে এই রাজ্যে প্রকৃত লগ্নির মোট পরিমাণ ৭ হাজার কোটি টাকার মতো। বছরের গড় হিসেব ধরলে ১৩৭৪ কোটি টাকা। মহারাষ্ট্রে যা বছরে ১৩ হাজার, অন্ধ্রপ্রদেশে ৫ হাজার, আর গুজরাতে ২২ হাজার কোটির বেশি। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বিনিয়োগের যে বিপুল অঙ্ক শুনিয়ে চলেছেন, তার বেশির ভাগটাই রয়েছে আশার পথ চেয়ে। যেটুকু ধরাছোঁয়া যাচ্ছে, তারও সিংহভাগ আবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির। বেসরকারি বা ব্যক্তিগত বিনিয়োগের পরিমাণ সেই
সিন্ধুতে বিন্দুসম।

Advertisement

ঘটনা: লগ্নি যেখানে হয়, সেখানেও তার পূর্ণ সুফল পাওয়া যায় না। কারণ, যা মেলে তা অ-ব্যবহারযোগ্য। উদাহরণ, কলকাতার নতুন উড়ালপুল। ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে বানানো সেতু আক্ষরিক অর্থেই কাজে লাগছে আধখানা। কারণ, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সব সময়েই এটি কোনও না কোনও দিকে একমুখী।

দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে আপাত ভাবে হয়তো মিল নেই। কিন্তু খতিয়ে দেখলে তিন তথ্যের বুননে এক সুতোয়
গেঁথে ফেলা যায় বাঙালি চরিতের একটি মালা।

তিন খান দেখিয়ে দেন, কী ভাবে আমাদের ভূমিতে এসে অন্যেরা দাপটে ব্যবসা করে। রাজ্যে লগ্নির পরিমাণ থেকেই স্পষ্ট হয়, বাংলায় কেন ব্যবসা নেই। আর পরমা-র উড়ালপুল মনে পড়িয়ে দেয় রবীন্দ্রনাথকে— আমরা সাড়ম্বর শুরু করি, শেষ করতে জানি না। বাংলা ও বাঙালির অনেক সম্ভাবনাই তাই শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয় না। যখন ব্যবসা থাকে, তখনও অপটুতায় তার সদ্ব্যবহার দুরূহ হয়ে যায়। তাই ৫০০ কোটির সেতুও ‘আধা-কাজের’ হয়ে থাকে।

২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগ আনতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই লক্ষ্যে এই বছর তিনি প্রথমে লন্ডন, পরে ভুটানে যান। ওই সব সফর থেকে কতটা কী শিল্প এবং লগ্নি এসেছে, তা বছর শেষেও খুব স্পষ্ট নয়। বরং বিনিয়োগের আসল অঙ্ক বুঝিয়ে দেয়, চিত্রটি দ্রুত বদলানোর নয়।

বাণিজ্যের সূত্রে আসে বন্দরের কথা। কেন্দ্রের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম দিন কয়েক আগে সাফ বলে দিয়েছেন, কলকাতা বন্দরের কাল শেষ। আশার আলো জ্বলে না হলদিয়াতেও। সাগরের গভীর সমুদ্র-বন্দর এখনও গভীর জলে। বর্ষশেষে দাঁড়িয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই সমুদ্র-বন্দর নিয়ে আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন বটে, কিন্তু বহু প্রশ্নের জট এখনও খোলেনি। যেমন, গভীর সমুদ্রের সঙ্গে ডাঙার সংযোগ ব্যবস্থা কী ভাবে গড়ে তোলা হবে, সেটাই এখনও চূড়ান্ত হল না। অন্ডালের বিমানবন্দরটি অবশেষে চালু হলেও সপ্তাহে তিন দিন বিমান ওঠা-নামা করার জন্য গুনাগার দিতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বেসরকারি উদ্যোগে কেমিক্যাল হাব নাকচ হওয়ার পরে এ বার নয়াচর নিয়ে কী হবে, আদৌ সেখানে কিছু করা সম্ভবপর কি না, ২০১৫-তে তারও সদুত্তর মিলল না। তবে দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা স্বয়ং নয়াচরের মাটিতে পা রেখে সেখানে নতুন কিছু ভাবনার সম্ভাবনা ফের উস্কে দিয়েছেন। বাঙালি জানে, ভাবা সর্বদাই স্বাস্থ্যকর!

তবু বলতেই হবে, বিনিয়োগ আসুক, না-আসুক, ২০১৫
মমতাকে বিশ্বপথিক হিসেবে মোটামুটি প্রতিষ্ঠা দিতে পারবে। গত বছর সিঙ্গাপুরের পরে এ বার পরপর বাংলাদেশ, লন্ডন, ভুটান। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরে হয়তো মার্কিন মুলুকও। এ যাবৎ সব ক’টি বিদেশ-সফরেই নিজের
মতো করে দাগ রেখে এসেছেন মমতা।লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে থিম্পুতে ভুটানের রাজবাড়ি— সর্বত্র ঝোলা কাঁধে হাওয়াই চটি পরা বঙ্গতনয়া ঢুকে পড়েছেন অবলীলায়! ভুটানের প্রধানমন্ত্রী গাড়ি চালিয়ে হোটেলে পৌঁছে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। বাঙালির ২০১৫ যদি এ-সব ভেবে একটু শ্লাঘা বোধ করে, তাতে ক্ষতি কী!

আসলে বাঙালির ভাঁড়ারে ‘অহঙ্কারী’ হওয়ার মতো পুঁজি তো দিনে দিনে শুধুই কমছে। আছে এক অদ্ভুত নিস্তরঙ্গতা। ফেলে আসা বছরটিও তারই নির্মম সাক্ষী। ভাল-মন্দের কোনও মাপকাঠিতেই তাকে ঠিক মতো ধরা কঠিন। এ যেন চলতে থাকা সেই মেগা-সিরিয়াল, যার শেষটা কেউ জানে না। কাহিনিতে কোনও বাঁক নেই, চমক নেই, সম্ভাবনার আভাসটুকুও নেই। বছরের পর বছর একই মুখ, একই রকম ভাবনা, আর অন্ধকার আবর্তে ঘুরপাক খেয়ে চলা। বাঙালির বারোমাস্যা এখন ফুল্লরার চেয়েও করুণ!

শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি, কোনও ক্ষেত্রেই এই বছরে উল্লেখ করার মতো কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি বাঙালি। ২০১১-তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে গত চার বছরে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েছে অন্তত ১৫টি। ২১ থেকে ৩৬। এই বছর আরও দু’টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে রাজ্য। বিশ্ববিদ্যালয় উৎপাদনে জন্মনিয়ন্ত্রণ বিধি না থাকা শিক্ষার অগ্রগতির পক্ষে কতটা স্বাস্থ্যকর, সে প্রশ্ন হয়তো রাজ্য-পরিচালকদের কাছে অবান্তর। কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে ভৈরবতন্ত্র এবং ক্ষমতার তোষামোদ দুই-ই এখনও নানা ভাবে বহাল। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ।

চলতি বছরে প্রেসিডেন্সি থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছেন আরও কয়েক জন শিক্ষক। নজিরবিহীন ভাবে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে রাতভর বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চালিয়ে যাদবপুরের ‘কলরব’ কলেজ স্ট্রিটে নিয়ে আসার কাজে নাম কিনেছেন প্রেসিডেন্সির একদল পড়ুয়া। এবং প্রায় একই রকম বেনজির দৃষ্টান্ত গড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নতজানু হয়েছেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুগত মারজিত্ অবশ্য কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর উপরে শাসক দল এবং সরকারের আস্থা আছে বলেই তিনি এই চেয়ারটি পেয়েছেন। শিক্ষার আঙিনায় বড় ছবিটি যদি এই হয়, তা হলে ‘উন্নতশির’ পড়ুয়াদের হাতে কলেজের দু-চারজন অধ্যক্ষ চড়-থাপ্পড় খাবেন না— তা হয় না কি!

সাহিত্যে এ বারেও বাঙালির খরার বছর। তবে নেই-নেই করেও ভেসে উঠেছে বিজ্ঞান। যাদবপুরের কাল্টিভেশন অব সায়েন্সেস-এর গবেষক প্রদ্যুৎ ঘোষ এ বার রসায়নে ভাটনগর পুরস্কার পেয়ে বাঙালির মান বাড়িয়েছেন। মৌলিক গবেষণা-পত্র লিখে সাধুবাদ কুড়িয়েছেন আরও কয়েক জন বাঙালি। তাঁদের মধ্যে আছেন টাটা ইন্সটিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের পদার্থবিজ্ঞান গবেষক সব্যসাচী ভট্টাচার্য, সেখানেই জীববিজ্ঞান নিয়ে কর্মরত রূপ মল্লিক, বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

সংস্কৃতির অঙ্গন গত কয়েক বছরের মতোই মমতায় পিচ্ছিল। এ পথে হাঁটলে পুরস্কার জুটতে পারে, পিছলে গেলে পপাত! অতএব ভিড় বাড়ছে। খেতাব এবং সম্মানের তালিকা এ-বছর আরও দীর্ঘ। এমনকী রাজনৈতিক বিশ্বাসে যাঁরা ভিন্ন পথের, ‘সহিষ্ণুতা’র বাজারে এ-বার তাঁদেরও কয়েক জনকে সম্মান জানিয়ে কুশলী চাল চেলেছে সরকার। ২০১৫-র প্রান্তে দাঁড়িয়ে এটা ২০১৬-র ভোট-রাজনীতি কি না, সেই জল্পনা বর্ষশেষের হাওয়ায় ভাসমান।

এরই মধ্যে সংস্কৃতির রাজ্যে বছরকার পাওনা বলতে দু’টি। এক, অনেক বছর পরে কলকাতায় পরেশ মাইতির চিত্র ও ভাস্কর্যের একক প্রদর্শনী। দুই, শেক্সপিয়রের ‘টুয়েলফ্থ নাইট’কে ভিত্তি করে ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় মিনার্ভা রেপার্টরির নতুন জমজমাট নাটক ‘মুম্বই নাইটস’।

টালিগঞ্জের সিনেমা-জগতে এ বারেও অনেকটাই গোয়েন্দা-বর্ষ। সিনেমা হলগুলিতে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বাংলা ছবি ‘বেলাশেষে’ বাদ দিলে এ বারও বারবার ব্যোমকেশ। বর্ষশেষের ‘হর হর ব্যোমকেশ’ পর্যন্ত। তবে সত্যান্বেষণে এটাও ধরা পড়ে, বাংলা চলচ্চিত্রে ঠাকুমা-দিদিমাদের দাপট বহাল! আশার কথা, অনেক দিন বাদে একটি নতুন মুখের দেখা মিলেছে। ঋত্বিকা সেন। অপর্ণা সেনের পরে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবিতেও ঋত্বিকা। দেবের বিপরীতে এই নতুন মুখ ‘দেবী’ হয়ে উঠতে পারবে কি না, সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। মুম্বইয়ের বঙ্গকন্যা কাজল স্টুডিও ফ্লোর থেকে সযত্নে সরিয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। পাঁচ বছর পরে ২০১৫-তে এসে প্রথমেই ছক্কা।

বাংলা ছবিতে এক অভিনব ধারা পরিচালক সৃজিতের নির্মীয়মান ছবি। দেব সেখানে নির্বাক। এটা সংক্রামক হবে কি না, তার প্রতীক্ষায় থাকবে টলিউড।

বাঙালির খেলার মাঠ বরং তুলনায় কিছুটা সরব। তেরো বছর পরে মোহনবাগানের হাত ধরে আই লিগ ফিরল কলকাতায়। কমনওয়েলথ টেবিল টেনিসে ভারতীয় হিসেবে ১৭টি পদক জিতে ইন্দু পুরীকে ছাপিয়ে গেলেন বাংলার মৌমা দাস। গল‌্‌ফ-এর পিজিএ চ্যাম্পিয়নশিপে পঞ্চম স্থান অনির্বাণ লাহিড়ির। জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পরে সিএবি-তে তাঁর চেয়ারে ক্রিকেট প্রশাসনের নতুন অবতার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অবসরের পরে দ্রুত নিজের জায়গা পাকা করে নেওয়ার পথে ঋদ্ধিমান সাহা। ২০১৫-র বাঙালি তাঁর উপরে বাজি ধরতেই পারে। কিন্তু বছর শেষের বেসুর, লক্ষ্মী-হারা হল ক্রিকেট। লক্ষ্মীরতন শুক্ল জানিয়ে দিলেন, নিজের মোহনবাগান ক্লাব ছাড়া আর কোনও স্তরেই খেলবেন না তিনি।

রাজনীতির ময়দানে নতুন কোনও তরঙ্গ নেই ফেলে আসা বছরে। শুধু ভোট-রাজনীতির জল্পনায় এই বছর ফের জায়গা করে নিয়েছেন মুকুল রায়। সারদা কাণ্ডে সিবিআই-এর তলব এবং মমতার সঙ্গে দূরত্বের জেরে গত বছর ‘খবর’ হয়েছিলেন মুকুল। তিনি ঝরার পথে, নাকি ঘরে ফেরার— তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গিয়েছে বছরভর। অবশেষে বছর ফুরোনোর আগে দিল্লিতে মমতার ডাকে মুকুলের চাইনিজ খেতে আসা। এ কোনও নব-অভিষেকের ইঙ্গিত কি না, ২০১৫ সেই প্রশ্ন রেখে গেল।

বর্ষশেষে সামান্য প্রশ্ন রয়ে গেল শঙ্কুদেবের ত্রিশঙ্কু অবস্থান নিয়েও। কারণ, সারদা তদন্তে আবার তৎপর সিবিআই। তাদের ডাক পেয়ে কী এমন বলে এলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা? কেন রাতারাতি তল্পিতল্পা গুটিয়ে তৃণমূল ভবন থেকে নির্বাসিত তিনি? অনুমান বড়ই নির্দয়! সারদা-কেলেঙ্কারিতে এক বছর ধরে জেলবন্দি মদন মিত্রের প্রতি বর্ষশেষে তাঁর দলনেত্রীর হঠাৎ ‘সদয়’ মন্তব্যও রাজ্য রাজনীতির নিরিখে চোখ এড়ানোর নয়। বছর শেষের আভাস হল, ২০১৫-য় শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিত্ব গেলেও, ২০১৬-র প্রার্থী তালিকা মদনের জন্য ‘সুখবর’ আনতেও পারে।

ইদানীং মিটিং-মিছিলে ভিড় সিপিএমের বুকে কিঞ্চিৎ আশা জোগাচ্ছে। বছর শেষের ব্রিগেড তো বটেই। তবে সেই আশা কুহকিনী কি না, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহম্মদ সেলিম বা সুজন চক্রবর্তী, কে দলের নতুন মুখ হয়ে ওঠেন— তার কিছুই এখনও বলার সময় আসেনি। ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র অধীর-প্রতীক্ষায় বছর কাটিয়ে দিল রাজ্য কংগ্রেসও। আর বিজেপি রাজ্যে সদ্য নতুন সভাপতি বসিয়ে দলকে চাঙ্গা করার উপায় খুঁজতে ব্যস্ত।

এমনতর নানা খোঁজাখুঁজিতেই বছর পার। ২০১৫-র নিস্তরঙ্গ ডোবা থেকে বিষ বা অমৃত কোনওটাই মিলল না। কিছু না-হওয়ার সেই বোঝা নিয়েই ২০১৬-তে পদার্পণ।

তবু যদি বাংলার মুখ খুঁজতেই হয়? ২০১৫-তে? কে?

আমার ভোট: মৌমা দাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement