Gaighata

‘প্রতারক’ স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশ থেকে গাইঘাটায়, বাড়িতে তালা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি তরুণীর

তাহমিনার অভিযোগ, এক সময় হরিচাঁদ তাহমিনাকে বলে পাঁচ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে। বুধবার, তাহমিনা বলেন, আমি বাংলাদেশে একটি স্কুলে চাকরি করি। পাকাপাকি ভাবে এখানে চলে আসা সম্ভব নয়। তাই আসতে পারিনি।’’ তাঁর অভিযোগ, এই সুযোগ নিয়েই হরিচাঁদ এ পারে ফের বিয়ে করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৩২
Share:

অভিযুক্ত হরিচাঁদ মণ্ডলকে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশে স্ত্রী থাকতেও এ পারে এসে ফের বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু নাছোড় বাংলাদেশি তরুণী স্বামীকে খুঁজে বের করেই ফেললেন। শুধু সন্ধান পাওয়াই নয়, স্বামীর গাইঘাটার বাড়িতে এসে ঝুলিয়ে দিলেন তালা। বুধবার দিনভর এই নিয়েই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। পুলিশ ওই যুবককে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ধস্তাধস্তিতেও জড়ালেন মহিলা।

Advertisement

অভিযোগকারিণী বাংলাদেশের নাগরিক তাহমিনা খাতুন(২৭)। তাঁর দাবি, স্বামী হরিচাঁদ মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বহুদিনের। দু’জনেই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই হরিচাঁদ এপার বাংলায় চলে আসেন। অভিযোগ, গাইঘাটার মোড়লডাঙা গ্রামে এসে এখানকার ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করে ফেলেন। কিন্তু এ পারে আসার পরেই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় টানাপড়েন।

তাহমিনার অভিযোগ, এক সময় হরিচাঁদ তাহমিনাকে বলে পাঁচ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে। বুধবার, তাহমিনা বলেন, আমি বাংলাদেশে একটি স্কুলে চাকরি করি। পাকাপাকি ভাবে এখানে চলে আসা সম্ভব নয়। তাই আসতে পারিনি।’’ তাঁর অভিযোগ, এই সুযোগ নিয়েই হরিচাঁদ এ পারে ফের বিয়ে করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন:‘বিদেশি গরু’র দুধেই মিলল সোনা! গবেষণার ‘তথ্য’ সাপ্লাই দিলেন দিলীপরাই
আরও পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনে অবরুদ্ধ বাঘাযতীন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও

বুধবার সেই ক্ষোভেই হরিচাঁদের মোড়লডাঙার বাড়িতে হানা দেন তাহমিনা। হরিচাঁদ যাতে পালাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাড়ির দরজায় তালাও দিয়ে দেন তিনি। পুলিশ হরিচাঁদকে উদ্ধার করতে এলে ওই যুবতীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। হরিচাঁদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

দেখুন সেই ঘটনার ভিডিয়ো:

সন্দেহ দেখা দিয়েছে হরিচাঁদের নাগরিকত্ব নিয়েও। তাহমিনা অভিযোগ জানিয়েছেন, হরিচাঁদ দুই দেশের পরিচয়পত্রই ব্যবহার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement