Calcutta High Court

‘মাস্টারমশাই, ভোটে লড়ে কী হবে?’, শিক্ষাবন্ধুর নির্বাচনে লড়ার আর্জিতে বলল হাই কোর্ট

পঞ্চায়েত ভোটে পার্শ্বশিক্ষকেরা অংশ নিতে পারলে শিক্ষাবন্ধুরা নয় কেন? প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন এক শিক্ষাবন্ধু। বুধবার বিচারপতি সিন্‌হা কমিশনকে এই বিষয়ে উত্তর দিতে বলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ ১৩:৫০
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

মাস্টারমশাই নির্বাচনে না লড়ে শিক্ষকতা করুন। রাজ্যের এক শিক্ষাবন্ধুকে এমনই পরামর্শ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার মন্তব্য, “শিক্ষকতার মতো মহান (নোবেল) কাজ আর কী আছে? মাস্টারমশাই, শিক্ষকতা করুন। নির্বাচনে লড়ে কী হবে, কী করবেন?” যদিও ওই শিক্ষকের আইনি অধিকার নিয়ে মামলাটি বুধবার বিকেলে শুনবে বলে জানিয়েছে আদালত।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটে পার্শ্বশিক্ষকেরা অংশ নিতে পারলে শিক্ষাবন্ধুরা নয় কেন? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন এক শিক্ষাবন্ধু। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে শিক্ষাবন্ধুরা ভোটে লড়তে পারবেন না। এ নিয়েই তাঁর আপত্তি। বুধবারই বিচারপতি সিন্‌হা কমিশনকে এই বিষয়ে উত্তর দিতে বলেছেন। বুধবার বিকেল ৩টে নাগাদ এই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন।

গত ২৭ মে বেশ কিছু পেশার মানুষকে পঞ্চায়েত ভোটে না দাঁড়ানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চায়েতের কর সংগ্রাহক, রেশন ডিলার, হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার্স, গ্রাম রোজগার সেবক, গ্রামীণ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, প্রযুক্তিগত ভাবে দক্ষ চুক্তিভিত্তিক কর্মী, শিক্ষাবন্ধু, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অধীনে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী, গ্রাম পঞ্চায়েতের সহকারি কোষাধ্যক্ষ, সরকারি কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মরত গ্রুপ ডি স্তরের কর্মী-সহ আরও বেশ কিছু পেশার মানুষ পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু ৩১ মে আবারও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ২০০৩ সালের আইনের উল্লেখ করে বলা হয়, শুধুমাত্র পার্শ্বশিক্ষকদের ভোটে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হল। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান পার্শ্বশিক্ষকদের বড় একটি অংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement