কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
একই মামলায় সমান্তরাল দু’টি তদন্ত হতে পারে না। সারদার টাকা তছরুপের ঘটনায় কাঁথি থানায় দায়ের হওয়া মামলা সিবিআইকে হস্তক্ষেপ করার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। আগামী শুক্রবার মামলাটির ফের শুনানি রয়েছে।
পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে মামলা তুলে দিতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। মঙ্গলবার তাঁর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘সারদা-কাণ্ডের যাবতীয় মামলা পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে সিবিআইকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো এই সব মামলার তদন্ত করছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে এই অবস্থায় রাজ্য পুলিশ কী ভাবে ওই মামলা হাতে নিতে পারে?’’ রাজ্যের দাবি, টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। আদালতের নির্দেশ, কাঁথি থানার কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতে হবে।
অন্য একটি জনস্বার্থ মামলায় আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের সওয়াল, ‘‘২০২০ সালের ডিসেম্বরে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বেআইনি ভাবে টাকা নেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। তার পরেও এখনও অবধি সিবিআই বিরোধী দলনেতাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। অথচ এই একই মামলায় অন্য প্রভাবশালীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পাল্টা শুভেন্দুর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘প্রায় নয় বছর আগে ঘটনাটি ঘটেছে। অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই চিঠি লিখেছিলেন সুদীপ্ত। ফলে ওই চিঠির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না দেখতে হবে।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতকে জানান, তদন্ত চলছে। তদন্তকারী সংস্থার আতসকাচের তলায় অনেকেই রয়েছেন। প্রয়োজনে সকলকে ডাকা হবে। মঙ্গলবার এই জনস্বার্থ মামলাটির রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে উচ্চ আদালত।