—প্রতীকী ছবি।
জামাকাপড় ঠাসা নাইলনের ব্যাগে রাখা প্যাকেট থেকে ৪ কিলোগ্রাম ৮০০ গ্রাম মরফিন বাজেয়াপ্ত করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। পুলিশের দাবি, তার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর বাস স্টপেজের কাছে ওই মরফিন-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা গৌর সরকার এবং শেখ গোলামকে। এসটিএফের দাবি, মাদক কারবারী আত্মীয়ের হাত ধরেই মাদকের ব্যবসায় নেমেছে গৌর। গোলাম চোরাচালানে পরিচিত নাম। দীর্ঘদিন ধরেই তারা ভিন রাজ্য থেকে মাদক এনে এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে পৌঁছে দিত।
সাধারণত, চূড়ান্ত ব্যথা কমানোর কাজে মরফিন ব্যবহার করা হয়। রাজ্যে যার অভাব প্রকট। তবে, যে মরফিন গৌরদের কাছে পাওয়া গিয়েছে তা কাঁচা মরফিন বলেই দাবি পুলিশের। সেই মরফিন আরও তরলীকৃত করে তবেই ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
এসটিএফ সূত্রের খবর, সাহেবগঞ্জ থেকে ওই মরফিন এনে তা পৌঁছনোর কথা ছিল নদিয়ার পলাশীতে। সেখানে ওই মরফিনে বিভিন্ন রাসয়ানিক মিশিয়ে হেরোইন তৈরি করে পাঠানো হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এর আগে গোয়েন্দারা পলাশিতে মাদক তৈরির একাধিক কারখানার হদিস পেয়েছেন। মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ধৃতদের বুধবার বহরমপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ঝাড়খণ্ডের সারাইকোল, হাজারিবাগ-সহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর চরে এবং জঙ্গলের গভীরে লুকিয়ে পোস্ত চাষ করা হয়। পোস্তের ফল চিরে পাওয়া আঠা রোদে শুকিয়ে, গরম জলে গুলে তাতে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড মিশিয়ে তৈরি হয় মরফিন। সেই মরফিনে সোডিয়াম কারবোনেট এবং অ্যাসিটিক অ্যানহাইড্রেড মিশিয়ে ব্রাউন হেরোইন তৈরি করা হয়।