ফাইল চিত্র।
মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করতে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থা এ বার সরকারি হাসপাতাল ভাড়া নিতে পারবে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নির্দেশিকা মেনে এমনই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যে চিকিৎসকের ঘাটতি পূরণ ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে এই পদক্ষেপ সাহায্য করবে বলেও মত স্বাস্থ্য কর্তাদের।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নির্দেশিকা মেনেই ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য এই নীতি নেওয়া হয়েছে। দেখা গিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ চালু করতে চাইলেও পারেনি। কারণ মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ক্ষেত্রে অন্যতম শর্ত ছিল, অন্তত দু'বছর কমপক্ষে ৩০০ বা তার বেশি শয্যার হাসপাতাল চালাতে হবে। আর সেই হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজটির মধ্যে যেন দূরত্ব হয় সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার। কিন্তু এই শর্ত পূরণ করতে না পারায় আর্থিক সঙ্গতি থাকলেও বেসরকারি সংস্থাগুলি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছিল।
এ বার সেই শর্ত পূরণে সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের যে কোনও ৩০০ বা তার বেশি শয্যার হাসপাতাল নির্দিষ্ট ভাড়ায় অন্তত দুই বছরের জন্য নিতে পারবে বেসরকারি সংস্থা। তবে ওই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা, পরিচালনার পুরো দায়িত্ব বা নিয়ন্ত্রণ রাজ্য সরকারের হাতে থাকবে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁরা জানান, বেসরকারি সংস্থাটি কী কী সুবিধা ওই হাসপাতালে নেবেন তার উপরে স্থির হবে ভাড়া। সেখানে তাঁদের পড়ুয়ারা পড়াশোনা ও হাতেকলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। অন্য দিকে নিজেদের মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পরিকাঠামোও গড়তে পারবে ওই সংস্থা। এ বিষয়ে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাকে আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন পত্র জমা করতে হবে।