Murshidabad Situation

মুর্শিদাবাদে অশান্তি: ৯ সদস্যের সিট গড়ল রাজ্য, নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার

মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনার তদন্তে ৯ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। সিটের নেতৃত্বে থাকছেন এক জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩০
Share:
(উপরে) মুর্শিদাবাদে গোলমালের সময়ের দৃশ্য এবং অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশি টহলদারি (নীচে)।

(উপরে) মুর্শিদাবাদে গোলমালের সময়ের দৃশ্য এবং অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশি টহলদারি (নীচে)। —ফাইল চিত্র।

মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল রাজ্য পুলিশ। ৯ সদস্যের ওই সিটের নেতৃত্বে থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গত সপ্তাহে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু অঞ্চলে। মুর্শিদাবাদের ওই অশান্তির আবহে কয়েক জনের মৃত্যুর খবরও মিলেছিল। তার মধ্যে একটি জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এ বার মুর্শিদাবাদের অশান্তির তদন্তে সিট গঠন করল পুলিশ।

Advertisement

সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একটি অংশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। মোতায়েন হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত সোমবার রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, দোষীদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না। শামিমের ওই হুঁশিয়ারির এক দিন পরেই মঙ্গলবার ধরা পড়েন জোড়া খুনের মামলায় দুই অভিযুক্ত।

অশান্তির আবহে যাতে ভুয়ো এবং উস্কানিমূলক বার্তা ছড়াতে না পারে, সেই কারণে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার একটা বড় অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। বস্তুত, অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শনিবার রাতেই মুর্শিদাবাদ চলে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। এ ছাড়াও, বিভিন্ন জেলা থেকে ‘দক্ষ’ ২৩ জন পুলিশ আধিকারিককেও পাঠানো হয় সেখানে। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখেন ডিজি। ঘুরে দেখেন হিংসাকবলিত এলাকা। দফায় দফায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা বলেন বিএসএফের সঙ্গেও।

Advertisement

পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্যোগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই শমসেরগঞ্জ বাদে জেলার বাকি অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। তবে এখনও এই এলাকাগুলি থেকে ১৬৩ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়নি। আপাতত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৬৩ ধারা বলবৎ থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement