অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
দুর্নীতির অভিযোগে কাউকে পদ থেকে ইস্তফার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তো কেউ শীর্ষ নেতৃত্বের উপরে ‘গোসা’ করে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় এবং অভিষেকের কর্মসূচিতে যাননি। তাঁদের একাংশই এ বার পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী। কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও গিয়েছেন। আর এ সবেই তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ দানা বাঁধছে নন্দীগ্রামের জেলায়।
গত বছর ৩ ডিসেম্বর কাঁথির সভা থেকে মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্রকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির অভিযোগেই ছিল ওই পদক্ষেপ।
কাঁথি-৩ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝুনুরানি এবং গৌতম এ বার যথাক্রমে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গৌতম আর ঝুনুরানি— দু’জনেই সে কথা মানছেন। তবে রামকৃষ্ণের দাবি, ‘‘দলের তরফে আমাকে প্রার্থী হতে বলা হয়েছিল। আমি রাজি হইনি।’’
আর অভিষেক পদক্ষেপ করার পরেও দলের টিকিট পাওয়া প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, ‘‘কোনও ভাবেই এমনটা হওয়া উচিত নয়। স্থানীয় নেতৃত্ব কী করেছেন, খোঁজ নিতে হবে।’’
গত এপ্রিলে দিঘায় মমতার কর্মী সম্মেলনে গরহাজির ছিলেন কাঁথি-১ ব্লকের সাবাজপুট অঞ্চলের তৃণমূল নেতারা। গত ৩১ মে দলের ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে চণ্ডীপুরে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটাভুটিতেও অনুপস্থিত ছিলেন সাবাজপুটের ১৯টি বুথের সভাপতি এবং পদাধিকারীরা। তবে পঞ্চায়েত ভোটে সাবাজপুটের একাধিক নেতাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তালিকায় রয়েছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা নেতা মৃন্ময় পণ্ডা, রামগোবিন্দ দাস, ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি তানিয়া জানা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান নমিতা দাস।
তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা জেলা কমিটির সদস্য রামগোবিন্দ ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীও হয়েছেন। এঁদের প্রার্থী করায় দলের নিচুতলার কর্মীদের একাংশ অবাক। যদিও রামগোবিন্দ বলছেন, ‘‘আমরা তো আর দল ছেড়ে চলে যাইনি।’’