বহরমপুরে পিএসি-র বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
বহরমপুরে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি) বৈঠকে ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন রাজ্যের আমলারা। জল সংক্রান্ত নানা রিপোর্ট নিয়ে তাঁদের দিল্লিতে দেখা করতে বলা হয়েছে।
বহরমপুরে পিএসি-র ৩ দিনের বৈঠকের সমাপ্তি ছিল বুধবার। পিএসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বৈঠকে আলোচনা চলছিল পানীয় জল এবং নগরোন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে। রাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুনীল গুপ্ত। কিন্তু মঙ্গলবারের মতো এ দিনও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। গরহাজির ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার কে সবরী রাজকুমার-ও। গত কাল অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে দিয়ে ফোন করিয়ে ডেকে আনা হয়েছিল জেলাশাসককে। এ দিনও ফের এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন সুনীল। তিনি জানান, বিশেষ কাজ থাকায় অনুপস্থিত জেলাশাসক। তবে তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। এ নিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়েন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব।
এর পর গ্রামীণ এলাকায় জলের ব্যবস্থা, আর্সেনিক সংক্রান্ত নানা রিপোর্ট চায় পিএসি। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র না দেখাতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পাল। নগরোন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠকের সময়েও সেই দফতরের কোনও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। অনুপস্থিতির কারণ নিয়েও প্রশ্নের মুখোমুখি হন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। পিএসি সূত্রে খবর, এর পরই জল সংক্রান্ত নানা বিষয়ের ফাইল নিয়ে আমলাদের দিল্লিতে দেখা করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: চেনটা ছিঁড়ে গেল, বকলসটা এখনও গলায় আটকে, বলছেন শিশির
আরও পড়ুন: আপাতত দল বড় করে পরে ছাঁকনি, নীলবাড়ির লক্ষ্যে এখন দিলীপ-নীতি
পিএসি-র চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘জেলা-সহ রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় জেলাশাসক অনুপস্থিত, এটা দুঃখের। কমিটির সদস্যরা অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান এবং এবং তা নিয়ে ভর্ৎসনা করা হয়। তাঁদের ফাইল নিয়ে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।’’