সুবোধ সিংহ। —ফাইল ছবি।
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এ রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংহকে। বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকলেও আজ, বুধবার তাকে আসানসোল আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে সিআইডি। ওই দুষ্কৃতীকে এ রাজ্যে নিয়ে আসার পর রাজ্য পুলিশের পরের টার্গেট সুবোধ সিংহের ডান হাত বিকাশ ঝা। বিহারের সমস্তিপুরের সাহাপুরের বাসিন্দা, বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত বিকাশকে ধরার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের তরফে বিহার এসটিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এর আগে বিহার পুলিশের সাহায্য নিয়েই ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত রবীন্দ্র সাহানিকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের একটি দল। তাকে জেরা করেই বিকাশের নাম উঠে আসে। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, জেলবন্দি সুবোধের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল বিকাশের। এর পর বিকাশের নির্দেশে রবীন্দ্র ও দলের অন্যরা গোটা দেশে ডাকাতি করে বেড়াত। এমনকি ডাকাতিতে বাধা পেলে গুলি চালিয়ে খুন করতেও পিছপা হত না ওই দলের সদস্যরা।
গত মাসে চার সশস্ত্র দুষ্কৃতীর একটি দল ডোমজুড়ের একটি সোনার দোকানে ঢোকে। তার পর বন্দুকের কুঁদো দিয়ে মারধর করে, কর্মীদের বেঁধে লুটপাট চালায়। পরে ডাকাতির সময়ে ব্যবহৃত মোটর বাইক ফেলে রেখে দলটি একাধিক বার ট্রেন বদলে বিহার পালিয়ে যায়। সূত্রের খবর, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই দলের চার জনকেই শনাক্ত করে পুলিশ। যার মধ্যে রবীন্দ্র সাহানি নামে একজনকে বিহার থেকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়। যার বিরুদ্ধে গোটা দেশে পঞ্চাশের বেশি ডাকাতি এবং খুনের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পারে। তাকে জেরা করেই সুবোধের ডান হাত বিকাশের নাম উঠে আসে। পুলিশের কর্তা জানান, বিকাশের কাছে রবীন্দ্রের মতো জনা পঞ্চাশেক ছেলে রয়েছে। যারা ডাকাতি করে সোনার দোকানে। ওই দলটি যেখানে ডাকাতি করবে বলে ঠিক করে, সেই জায়গায় আগে থেকেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে এ রাজ্যে সোনার দোকানে কিংবা স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় যত ডাকাতি হয়েছে, তার অনেক গুলির সঙ্গে সুবোধ যেমন জড়িত, তেমনি জড়িত তার ডান হাত বিকাশ। তার বিরুদ্ধে সারা দেশেই মামলা রয়েছে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তার কথায়, ভিন রাজ্যের ওই ডাকাত দলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে।