ফাইল চিত্র।
ক্যালেন্ডারে বুধবার ছিল জ্যৈষ্ঠের প্রথম দিন। কিন্তু আবহাওয়ায় যেন আষাঢ়স্য প্রথম দিবস। বর্ষার আগমনি! রোদের দেখা প্রায় নেই। দিনেদুপুরে ভিজে হাওয়ার আরাম। গাঙ্গেয় বঙ্গের জেলায় জেলায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে দফায় দফায়। বাজ পড়েছে ঘনঘন। বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। এই নিয়ে চলতি মরসুমে বজ্রাঘাতে ৩৪ জনের মৃত্যু হল।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, বর্ষা বহু দূরে। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের দুই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টির ফলে এ দিন কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) স্বাভাবিকের চৌকাঠেও পৌঁছতে পারেনি। আজ, বৃহস্পতিবারেও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
আবহবিদেরা জানান, জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সকাল থেকেই বিহার ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বাংলার উপরে বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়। পরে তা ছুটে আসে কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন জেলার দিকে। মহানগরে খুব বেশি ঝ়়ড়বৃষ্টি হয়নি। হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জোর ঝ়ড় বয়ে যায়। বৃষ্টিও হয় ব্যাপক। বৃষ্টি পেয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকু়ড়া, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানও।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ সময়ে বায়ুমণ্ডলের নিচু স্তরে গরম জোলো হাওয়া থাকে এবং ঠান্ডা ভারী হাওয়া থাকে মাঝারি বা উপরের স্তরে। এই দুইয়ের মিশ্রণেই ঝ়়ড়বৃষ্টির মেঘ তৈরি হয়। ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ অক্ষরেখা থাকলে এই পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। এ দিন জোড়া ঘূর্ণাবর্তের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।