State News

প্রতিবাদ করে প্রহৃত তৃণমূলের কাউন্সিলর

সাম্প্রতিক ঝড়ে ভেঙে পড়া সেই মাচা ফের তৈরি করা হচ্ছিল। মাচা বাঁধা যাবে না বলে সরব হন কাঁচরাপাড়ার তৃণমূলের এক কাউন্সিলর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৮ ০০:১৫
Share:

ঝোপের পাশে বাঁশ-ত্রিপল লাগিয়ে তৈরি হয়েছিল মাচা। সেখানে বসে গুলতানি চলত দুষ্কৃতীদের। কারও কোমরে রিভলভার গোঁজা থাকত, কারও ভোজালি। অভিযোগ, মাচায় বসে মহিলাদের কটূক্তি করত দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করার সাহস পেতেন না কেউ। এক দাগি দুষ্কৃতীর নিয়মিত আনাগোনা ছিল সেখানে।

Advertisement

সাম্প্রতিক ঝড়ে ভেঙে পড়া সেই মাচা ফের তৈরি করা হচ্ছিল। মাচা বাঁধা যাবে না বলে সরব হন কাঁচরাপাড়ার তৃণমূলের এক কাউন্সিলর। অভিযোগ, জনা আটেক যুবক বেধড়ক পেটায় তাঁকে। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রমেন মল্লিক নামে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর। ঘটনার পরে এলাকার লোকজন মাচা ভাঙচুর করে। পুলিশ এসে মাচা উঠিয়ে দেয়।

এই ঘটনায় তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠীর মদত আছে কি না, উঠছে সেই প্রশ্ন। মাচায় তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন থাকত বলে জানিয়েছেন রমেন নিজেই। দলের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের আর এক কাউন্সিলরের মদতেই মাচা বেঁধে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলছিল। সে কথা অবশ্য মানছেন না পুরপ্রধান তথা শহর তৃণমূল সভাপতি সুদামা রায়। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁর কথা উঠছে, তিনি অনেক দূরবর্তী এলাকার কাউন্সিলর। তিনি ওখানে যাবেন কী করে?’’ রমেন জানান, মাসখানেক আগে গজিয়ে ওঠা মাচার খবর পুরপ্রধানকে জানিয়েছিলেন তিনি। পুরপ্রধান নিজে এসে মাচা উঠিয়ে দিতে বলেন।

Advertisement

ইতিমধ্যে ঝড়ে ঠেক ভেঙে যায়। শুক্রবার সকালে অন্য এলাকার কিছু যুবক ফের মাচা তৈরি করতে শুরু করে। প্রতিবাদ জানান রমেন। তাঁর দাবি, ওই যুবকদের মধ্যে একজন দাবি করে, পুরপ্রধানের নির্দেশেই তারা মাচা বাঁধছে। রমেন বলেন, ‘‘আমি ছেলেটিকে পুরপ্রধানের কাছে নিয়ে যাই। তিনি জানিয়ে দেন, ওখানে মাচা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে পুলিশ দিয়ে তা সরিয়ে দেওয়া হবে।’’

রমেনের দাবি, পাড়ায় ফিরে সে কথা জানাতে‌ই কিছু ছেলে তাঁর উপরে চড়াও হয়। মাটিতে ফেলে লাঠি-বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। টনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement