প্রতীকী ছবি।
অন্ধকার রাত। রাস্তা প্রায় ফাঁকা। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বর্ধমানের দিকে দুরন্ত গতিতে ছুটে যাচ্ছিল একটি কালো এসইউভি।
পালসিটে টোল প্লাজায় গিয়ে দাঁড়াল গাড়িটি। তার পরে প্লাজা ছাড়িয়ে একটু এগোতেই আচমকা কালো এসইউভি-র পথ আটকাল অন্য একটি গাড়ি। তা থেকে নেমে এলেন পাঁচ জন। এসইউভি ঘিরে ধরে পেশাদারি ক্ষিপ্রতায় এক জনকে নামিয়ে নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়ে তাঁরা রওনা দিলেন কলকাতার দিকে।
অনেকটা ফিল্মি কায়দায় ধাওয়া করে সোমবার রাতে এ ভাবেই এক মাদক পাচারকারীকে ধরলেন সিআইডি অফিসারেরা। পুলিশ জানায়, এসইউভি-র আরোহী সেই পাচারকারীর নাম শেখ লালন। তার বাড়ি বীরভূমের ইলামবাজারে। দীর্ঘদিন ধরে তাকে খুঁজছিল সিআইডি। মাদক পাচার ছাড়াও তার বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর এবং অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে।
গোয়েন্দারা জানান, ১৫ মার্চ ইলামবাজারে লালনের বাড়িতে হানা দেয় সিআইডি-র একটি দল। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় হাজার পাঁচেক মেটামফেটামাইন এবং এক হাজার নিটোসিম-১০ ট্যাবলেট। এই দু’টি ট্যাবলেটই নেশার জন্য ব্যবহার করা হয়। সে-দিন তল্লাশি চলাকালীন গোয়েন্দাদের ঘিরে ফেলে লালনের দলবল। অভিযোগ, লালনের নেতৃত্বে পুলিশের উপরে হামলা চালানো হয়। গুলিও চলে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে, মাঝপথে তল্লাশি বন্ধ করে ফিরে আসতে হয় গোয়েন্দাদের।
সিআইডি জানাচ্ছে, লালন এ রাজ্যের বাইরে থেকে মাদক সংগ্রহ করে বীরভূম ছাড়াও বিভিন্ন শহরে রেভ এবং টেকনো পার্টিতে সরবরাহ করত। সেই কাজের
জন্যই সোমবার সে কলকাতায় এসেছিল। কাজ সেরে সে যে ফিরে যাচ্ছে, সেই খবর পেয়ে যায় পুলিশ। শুরু হয় ধাওয়া।