প্রায় দু’ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে বর্ধমান শাখায়।
নিয়ম ভেঙে রেল লাইন পারাপার করতে গিয়ে আটকে গেল মোটরবাইকের চাকা। সামনে থেকে ট্রেন আসতে দেখে প্রাণভয়ে বাইক ফেলেই পালাতে বাধ্য হলেন চালক ও আরোহী। তবে ওই বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে আগুন লেগে গেল ট্রেনের ইঞ্জিনে। কেউ হতাহত না হলেও দিনের ব্যস্ত সময়ে বর্ধমান শাখায় বন্ধ রইল ট্রেন পরিষেবা। বিপাকে পড়লেন যাত্রীরা। ঘটনা বৃহস্পতিবার সকালের। তবে ঘণ্টা দু’য়েক পরিষেবা বিঘ্নিত হলেও শেষমেশ তা চালু হওয়ায় স্বস্তি ফেরে যাত্রীদের মধ্যে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কোপাই থেকে বোলপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে ডাউন লাইনে ওই বিপত্তি ঘটে। কোপাই স্টেশন থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার আগে মোটরবাইক নিয়ে রেল লাইন পারাপার করতে যান এক যুবক। সুরজ পাল নামে ওই যুবকের বাইকের পিছনের আসনে ছিলেন তাঁর মা।
সুরজের বাবা জানিয়েছেন, নওয়াডাঙাল থেকে এ দিন কোপাইয়ের পূর্ব কেবিন মোড়ে একটি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যাচ্ছিলেন তাঁর ছেলে। তবে লেভেল ক্রশিং দিয়ে লাইন পার না করে সময় বাঁচানোর জন্য কোপাই স্টেশনের অদূরে রেললাইন পার হচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই রেললাইনের পাথরে বাইকের চাকা আটকে যায়। সে সময়েই উল্টো দিক থেকে একটি ট্রেন দ্রুত গতিতে আসতে দেখে ঘাবড়ে যান সুরজ।
আরও পড়ুন: এক দফার ভোট সন্ত্রাসহীন হবে কি? সন্দিহান বিরোধীরা
আরও পড়ুন: সরকার বলল, মেনে নিল কমিশন, ১৪ মে এক দিনে ভোট, গণনা ১৭-য়
প্রায় দু’ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে বর্ধমান শাখায়।
লাইনের ওপর বাইক রেখেই মাকে নিয়ে দৌড়ন তিনি। এর পর ট্রেনের সঙ্গে ওই বাইকের সংঘর্ষ হয়। প্রায় এক কিলোমিটার ওই বাইককে টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এক সময় রেল লাইনের ওপর বাইকের পেট্রল ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই আগুন লেগে যায় ট্রেনের ইঞ্জিনে। ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরতে থাকে। ধোঁয়া দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। রেল সূত্রের খবর, ট্রেনের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলকর্মীরা।
এই ঘটনার জেরে ওই লাইনে প্রায় দু’ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে রেল সূত্রের খবর, ওই সময় পাশের লাইন দিয়ে ট্রেন চালানো হয়। দুপুরের দিকে দু’টি লাইনেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
তুহিনশুভ্র দে-র তোলা ছবি।