—ফাইল চিত্র।
দলের সদস্যপদ তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সিপিএম এবং বাম রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। অশোক মিত্রের স্মরণসভা আয়োজন করে তাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে চায় সিপিএম।
মে দিবসের সকালে প্রয়াত হয়েছেন মার্কসবাদী অর্থনীতিবিদ এবং রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী অশোকবাবু। বয়সজনিত কারণে বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন। দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। নার্সিং হোম, অশোকবাবুর আলিপুর পার্ক রোডের বাড়ি এবং কেওড়াতলা শ্মশানে মঙ্গলবার শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সামিল হয়েছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, মদন ঘোষ, রবীন দেব, মনোজ ভট্টাচার্য-সহ বাম নেতারা। সিপিএমের আনুষ্ঠানিকতায় কিছু অসুবিধা থাকলেও রক্তপতাকায় মুড়েই শেষ যাত্রায় এগিয়েছে অশোকবাবুর মরদেহ। স্মরণসভার প্রসঙ্গে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমানবাবু বলেন, ‘‘প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি, এ তো ইতিহাস! সকলের সঙ্গে আলোচনা করে স্মরণসভার বিষয়টা স্থির করব।’’ পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বামেদের ধর্না-অবস্থানের পরে স্মরণসভার পরিকল্পনা হবে।
রাজনীতির গণ্ডির বাইরেও বিদ্যাচর্চা ও লেখালিখির জগৎ ছিল অশোকবাবুর। তাঁর গুণগ্রাহীদের তরফে সম্ভবত একাধিক স্মরণসভাই হবে। অশোকবাবুকে মঙ্গলবার শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন শঙ্খ ঘোষ, নবনীতা দেবসেনেরাও।
জন্ম ঢাকায়, ইন্দিরা গাঁধীর জমানায় কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন অশোকবাবু। বাংলায় ১৯৭৭ সালে প্রথম বামফ্রন্ট সরকারে জ্যোতিবাবু তাঁকে অর্থ দফতরের ভার দেন। জ্যোতিবাবুর সঙ্গেই তাঁর কিছু মনান্তর হয়েছিল। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। অশোকবাবুর নেতৃত্বাধীন কমিশনই প্রাথমিক শিক্ষায় ইংরেজি তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। পরে অবশ্য সিপিএম তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।