প্রতীকী ছবি।
রেশনের চাল, আটা নিয়ে হাজারো অভিযোগের জেরে সম্প্রতি রাজ্যে তুলকালাম ঘটে গিয়েছে। নিম্ন মানের খাদ্যপণ্য কেন তা গণবণ্টন ব্যবস্থায় দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে খাদ্য দফতর। খাদ্যশস্যের গুণমানের দিকে কড়া নজর রাখা যে প্রয়োজন, সেটা উপলব্ধি করেন কর্তারা। কিন্তু যাঁরা নজর রাখবেন, তাঁদের সংখ্যা যে খুবই কম! সেই ঘাটতি মেটাতে অন্তত হাজার পদে নতুন পরিদর্শক নিয়োগের ব্যবস্থা হচ্ছে।
‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পে প্রায় সাড়ে আট কোটি মানুষকে দু’টাকা কিলোগ্রাম দরে ভাল চাল দিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে রেশন ব্যবস্থায় নজরদারি বাড়াতে এক হাজার সাব-ইনস্পেক্টর নিচ্ছে খাদ্য দফতর। রাজ্য মন্ত্রিসভা আগেই ওই সব নতুন পদ অনুমোদন করেছে। সম্প্রতি পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি-কে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
রেশনের চাল, গম, আটা, চিনি-সহ সব পণ্যের মান পরীক্ষা, বণ্টন ব্যবস্থার উপরে নজর রাখতে হয় ইনস্পেক্টর ও সাব-ইনস্পেক্টরদের। কিন্তু নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে ওই সব পদে লোক নিয়োগ করা হয়নি। সম্প্রতি রেশনে খারাপ চাল বিলি নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় খালি পদ পূরণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দ্রুত নিয়োগের ব্যাপারে পিএসসি-র শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে খাদ্যসচিব মনোজ অগ্রবালের কথাও হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
খাদ্য দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যে ২২ হাজার রেশন দোকান আছে। বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল বিলি হয় রেশনে। তার মধ্যে ন’লক্ষ মেট্রিক টন চাল বিভিন্ন গুদামে মজুত রাখা হয়। আরও পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন চাল রাখার জন্য নতুন গুদামের বন্দোবস্ত হচ্ছে। সেই জন্য বাড়তি সাব-ইনস্পেক্টরের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে জানান ওই কর্তা।