প্রতীকী ছবি।
পড়ুয়াদের সুরক্ষার জন্য প্রতিটি স্কুলে কমিটি গঠনের নির্দেশ আগেই দিয়েছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। এ বার সব স্কুলে শিক্ষিকা, মহিলা অভিভাবক, মহিলা শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জানানোর জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল তারা। বিকাশ ভবনের নির্দেশে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন জেলা স্কুল পরিদর্শক (ডিআই)-এর অফিস থেকে বিভিন্ন স্কুলে নির্দেশিকা পৌঁছেও গিয়েছে। ৩১ মে-র মধ্যে কমিটি গঠনের বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে দফতর।
কর্মক্ষেত্রে কোনও মহিলা যৌন নিগ্রহের শিকার হলে বিশাখা নির্দেশিকা মেনে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু এত দিন রাজ্যের কোনও স্কুলে অভিযোগ জানানোর সংস্থানই ছিল না বলে অভিযোগ শিক্ষিকাদের। বহু স্কুলে এই ধরনের অভিযোগ জানাতে হয় ডিআই অফিসে। কিন্তু জেলার কয়েক হাজার স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআই-এর পক্ষে যৌন নিগ্রহের অভিযোগের দ্রুত তদন্ত সম্ভব হচ্ছিল না। তা নিয়ে শিক্ষিকাদের মনে ক্ষোভও জমছিল। সে কথা মাথায় রেখেই দফতর এই পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করছে শিক্ষামহল। দফতর নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে অভিযোগ জানানোর কমিটি তৈরি করতে হবে।
এক ডিআই জানান, পাঁচ সদস্যের কমিটিতে থাকবেন ওই স্কুলের শিক্ষিকা ও মহিলা শিক্ষাকর্মীরা। যদি স্কুলে কোনও শিক্ষিকা না থাকেন, তা হলে মহিলা অভিভাবক, আশেপাশের কোনও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অথবা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মহিলা কর্মীকে নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। ওই কমিটিতে ছাত্রছাত্রী নির্বিশেষে যে কোনও পড়ুয়া অভিযোগ জানাতে পারবেন।
কমিটি বৃত্তান্ত
• পাঁচ জন মহিলা সদস্যকে নিয়ে হবে কমিটি
• যৌন নিগ্রহের অভিযোগের তদন্ত করবে কমিটি
• তদন্ত রিপোর্ট দেবে ডিআই-কে
• অভিযোগ জানাতে পারবে পড়ুয়ারাও
সূত্র: স্কুলশিক্ষা দফতর
আর এক ডিআই জানান, এই কমিটির ফলে অভিযোগের নিষ্পত্তিও দ্রুত হবে। কারণ ওই কমিটিই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করবে। তার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়বে ডিআই অফিসে। প্রয়োজনে ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে পারবেন ডিআই-রা। সিপিআই-এর শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘২০১২ সালে বিশাখা নির্দেশিকা মেনে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা হয়। কিন্তু এত দিন সরকার কী করছিল?’’ স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘নির্বাচনের বিষয়টি আমাদের দফতরের দেখার কথা নয়। মহিলাদের সুরক্ষার কথা ভেবেই স্কুলে এই কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’