পুরুলিয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি এগিয়ে। পঞ্চায়েত সমিতিতে অল্প ব্যবধানে তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে রয়েছে তারা। তবে এই পরিস্থিতি আর থাকবে না। দু’দিনের মধ্যেই তিনি পুরুলিয়াকে বিরোধীশূন্য করে দেবেন। এমনই ঘোষণা করেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘১ জুন আমি যাব। পুরুলিয়া বিরোধীশূন্য করে আসব।’’
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্ব থেকেই ‘বিরোধীশূন্য’ করার স্লোগানে বিতর্ক হয়েছে। ভোট শেষের পর আবার সেই প্রসঙ্গ ফিরল অভিষেকের এ দিনের মন্তব্যে। পুরুলিয়ায় এ বারের ভোটে বিজেপি পেয়েছে ৫৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত। সিপিএম দু’টি এবং কংগ্রেস পেয়েছে আটটি। ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে ১৮টি।
একক দল হিসাবে অবশ্য তৃণমূলের হাতে এসেছে সব থেকে বেশি, ৫৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত সমিতিতেও বিরোধীদের অবস্থা অন্য অনেক জেলার থেকেই ভাল। তৃণমূল একা আটটি সমিতি পেলেও বিজেপি পেয়েছে চারটি। আটটি ত্রিশঙ্কু সমিতিরও দু’টিতে একক দল হিসাবে বিজেপিই বড়। ইতিমধ্যেই দলের তরফে যুব তৃণমূলের সম্পাদক, অভিষেক ঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্র জঙ্গলমহলে দলের ‘আধিপত্য’ ফেরাতে তৎপর বলে জেলা সূত্রে খবর। তিনি কয়েক দিন আগেই পুরুলিয়া চলে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বপন খুনে পাকড়াও গাজিপুর গ্যাংয়ের ৬
জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতে এলেও জঙ্গলমহলের সামগ্রিক ফলে প্রাথমিকভাবে উদ্বেগেই ছিল তৃণমূল। মনোনয়নপর্ব থেকেই নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় সংগঠনের খামতির বিষয়টি নজরে এসেছিল দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের। তবে পুরুলিয়ায় দলের ফল খারাপ হয়েছে বলে মানতে চাননি অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে ফল খারাপ হয়েছে বলা হচ্ছে। বিজেপিকে নিয়ে কিছু মাতামাতি হচ্ছে। তৃণমূলের ফল খারাপ হয়নি।’’
এ দিনই পূর্ব মেদিনীপুরে এক সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ওরা (তৃণমূল) চাইছে যে কোনও উপায়ে বিজেপির জয়ীদের দলে টানতে। আমরা তা আটকাব।’’