মঙ্গলবার রাতে জোড়া ঝড়ের রেশ কাটল না ২৪ ঘণ্টা পরেও।
বুধবারও হুগলি এবং হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। এমনকি, এ দিন রাত পর্য়ন্ত কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ ফেরেনি। জল না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করেন নাকাল হওয়া নাগরিকেরা। খোদ পুর কর্তারাই স্বীকার করছেন, এখনও কলকাতার বিভিন্ন এলাকা, শহরের চিলতে গলিতে গাছ বা ভাঙা ডালপালা পড়ে রয়েছে। অবস্থা তথৈবচ জেলাতেও।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন জানিয়েছেন, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৮। তাঁদের মধ্যে কলকাতায় আট জন, হাওড়ায় ছ’জন, হুগলিতে এক জন, উত্তর ২৪ পরগনায় এক জন, বাঁকুড়ায় দু’জন। মৃতদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রক্রিয়া নির্বাচনী আচরণবিধির আওতায় পড়ছে না। কলকাতায় চার জনের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ দু’লক্ষ টাকা এ দিনই তুলে দেন পুর কর্তৃপক্ষ।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঝড়ে মোট ৪৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনায় কয়েকশো করে বাড়ি ভেঙেছে। সরকারি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার নিরিখে এগিয়ে কলকাতা। ১৬০৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরেই। বিপর্যয় মোকাবিলায় কলকাতায় পুরপ্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।