—প্রতীকী চিত্র।
ভিন্ রাজ্য থেকে এসে অনেক চিকিৎসকই এই রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের বিষয়ে কোনও তথ্যই নেই রাজ্যের কাছে। বিষয়টি নিয়ে এ বার নড়ে বসল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। প্রথম ধাপে শহরের সাতটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছ থেকে সেখানে যুক্ত চিকিৎসকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল থেকেই ওই তথ্য নেওয়া হবে বলে খবর।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রের খবর, ১৫ দিনের মধ্যে ওই সাত হাসপাতালকে চিকিৎসকদের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। তাতে চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও সেটি কোন রাজ্যের, তা উল্লেখ করতে হবে। কাউন্সিলের সদস্য, চিকিৎসক কৌশিক বিশ্বাস বলেন, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের সুরাহা পেতে মানুষ আমাদের কাছে আসেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের এ রাজ্যে রেজিস্ট্রেশন না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।’’ তিনি জানাচ্ছেন, আয়ুষ চিকিৎসকেরা আইসিইউ-তে পরিষেবা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ আসে। সমস্ত কিছু বন্ধের জন্যই এমন পদক্ষেপ।
গত ২৪ নভেম্বর স্বাস্থ্য দফতরও নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, অন্য রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে এই রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিষেবা দিতে পারবেন না কোনও চিকিৎসক। তাঁকে ওই প্রকল্পে রোগী দেখতে হলে রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী পোর্টালে এ রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকা চিকিৎসকদের নাম নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছিল। অন্যথায় পয়লা ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যসাথীতে রোগী দেখতে না পারার কথাও জানানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, সময় পেরিয়ে গেলেও অনেকেই নিয়ম মানেননি। তাই এ বার কড়া মনোভাব নিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তারা তালিকা চেয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছ থেকে। কৌশিক জানান, আগামী দিনে এ রাজ্যে রোগী দেখতে হলে, এখানকার মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার কথাও ভাবা হচ্ছে।