ছবি পিটিআই।
দরকার ছিল পরিকল্পনামাফিক নির্দিষ্ট সূচি। কিন্তু লকডাউনের দিন নির্বাচনের নেপথ্যের যুক্তি সন্তুষ্ট করতে পারছে না পর্যবেক্ষকমহলকে। ছুটির দিনের পরেই লকডাউনের দিন শুরু হওয়ায় পরীক্ষা-সহ একাধিক কাজের দিন চূড়ান্ত করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
আনলক পর্বে কয়েকটি করে দিন পূর্ণাঙ্গ লকডাউন করার পথে হেঁটেছে একাধিক রাজ্য। কোনও কোনও রাজ্য সপ্তাহান্তের দু’দিন পূর্ণ লকডাউনের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছে। শুরুতে এ রাজ্য তা-ই করতে চেয়েছিল। গত ২৮ জুলাই সরকার জানিয়েছিল, শনি এবং রবিবারকেই লকডাউনের দিন হিসেবে অগ্রাধিকার দিচ্ছে তারা। কারণ, এই দু’দিন এমনিতেই ছুটি থাকে। তাই অর্থনৈতিক কাজকর্মকে তা ব্যাহত করবে না। কিন্তু উৎসব-পার্বণ বা বিবিধ কর্মসূচির যুক্তি দেখিয়ে পাঁচ বার বদল হয় লকডাউনের সূচি। ফলে সপ্তাহান্তের লকডাউন কর্মসূচি নির্দিষ্ট হয়নি।
চলতি মাসের পাঁচ তারিখ লকডাউন ছিল। তার পরের দিন আট অগস্ট, শনিবার। পরের দিন রবিবার হওয়ায় এমনিতেই তা ছুটির দিন। ২০ এবং ২১ অগস্ট লকডাউন হয়েছে। তার পরের দু’দিন শনি এবং রবিবার হওয়ায় কার্যত চার দিন টানা ছুটি। ২৭ অগস্ট লকডাউন ছিল। ২৮ অগস্ট প্রত্যাহার না-হলে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত টানা ছুটি হতে পারত। সর্বশেষ সরকারি সিদ্ধান্তে ২৮ তারিখ লকডাউন হয়নি। আবার আজ, শনিবার এবং আগামিকাল, রবিবার ছুটির দিনের পরে ৩১ অগস্ট সোমবার রাজ্যজুড়ে পূর্ণ লকডাউন পালিত হবে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙাই মূল উদ্দেশ্য। তাই সপ্তাহান্তের দু’দিনের পরিবর্তে টানা কয়েক দিন পাওয়া গেলে ক্ষতি নেই। এই সব দিক বিবেচনা করেই সরকার লকডাউনের দিন নির্বাচন করেছে। সেপ্টেম্বরের সাত তারিখ সোমবার। আবার ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার। ফলে দিনগুলির আগে-পরে রবিবার থাকায় একটা করে দিন বেশি পাওয়া যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ‘ভোটের সময়ে কিন্তু কোর্ট দেখালে চলবে না!’
চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে দু’দিনের লকডাউনে সংক্রমণের শৃঙ্খল যে ভাঙবেই, তার নিশ্চিত প্রমাণ নেই। তবে ভিড়-জমায়েত এড়াতে এই কর্মসূচি কঠোর প্রয়োগ করা যেতেই পারে। তবে উৎসব-পার্বণ-বিবিধ কর্মসূচির যুক্তিতে লকডাউনের ঘন ঘন দিন পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি পর্যবেক্ষক মহলের অনেকের যুক্তি, আনলক পর্বে আর্থিক কর্মকাণ্ড ও গতিবিধি যখন ক্রমশ নিয়ন্ত্রণমুক্ত হচ্ছে, তখন প্রতি সপ্তাহে লকডাউনের দিন নির্দিষ্ট থাকলে সেগুলি কার্যকর করতে প্রত্যেকের সুবিধা হত।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতাল পরামর্শ না-মানলে লাইসেন্স বাতিল!