Ration

চাল-গম সংগ্রহের সময় বাঁধল রাজ্য

তিন মাসের জন্য মাথাপিছু পাঁচ কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য দেওয়ার নির্দেশ ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৩২
Share:

রেশনের অপেক্ষায়।—ছবি এএফপি।

ভিড় এড়িয়ে রেশনের সামগ্রী সংগ্রহের জন্য সময় বেঁধে দিয়ে কুপন বা চিরকুটের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এ বার রেশন দোকানগুলিতে সময় বেঁধেই মে মাসের খাদ্যশস্যের মজুত নিশ্চিত করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। খাদ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে গুদামঘরে মজুত থাকা চাল ও গম সংগ্রহ করতে হবে। সেই খাদ্যশস্য ২০ এপ্রিলের মধ্যে পৌঁছে যেতে হবে রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকানে।

Advertisement

তিন মাসের জন্য মাথাপিছু পাঁচ কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য দেওয়ার নির্দেশ ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়াকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলি এক বারে অথবা প্রতি মাসে তিন মাসের মজুত সংগ্রহ করতে পারে।

রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর— এই ছ’মাস নিখরচায় পাঁচ কিলোগ্রাম করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে চার শ্রেণির উপভোক্তাদের। এক মাসের মজুত এক বারে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। লকডাউনের ফলে শ্রমিকের অভাব থাকায় ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া খাদ্যশস্য বিলিবণ্টনে গোড়ায় কিছুটা সমস্যা হয়। কারণ, তখন সব রেশন দোকানে খাদ্যশস্য মজুতের পরিমাণ সমান ছিল না। খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, এই বিলি ব্যবস্থা মসৃণ রাখতে রেশন ডিলারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রেশন ডিলারদের অভিযোগ, রেশনের বরাদ্দ চাল-গম ত্রাণ খাতে বিলি করার জন্য অনেক কাউন্সিলর ও পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদের উপরে চাপ সৃষ্টি করছেন। এই মর্মে তাঁরা রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দরিদ্রতম মানুষের কাছে রেশনসামগ্রী ঠিকঠাক পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের তরফেও চিঠি লেখা হয়েছে খাদ্যমন্ত্রীকে। রেশনের সামগ্রী বিলি নিয়ে রাজ্য সরকার রাজনীতি করছে বলে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন রাজ্যসভার বিজেপি সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত।

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে এ-পর্যন্ত অন্তত ৭৫ শতাংশ উপভোক্তা খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছেন। রেশন কার্ডের আবেদন করেও যাঁরা এখনও তা পাননি, তেমন উপভোক্তাদের ফুড কুপন দিয়েছিল জেলা প্রশাসনগুলি। শুক্রবার থেকেই সেই উপভোক্তারাও খাদ্যশস্য পেতে শুরু করেছেন। খাদ্য দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, জেলা পুলিশ এবং প্রশাসন এনফোর্সমেন্ট দফতরকে সঙ্গে নিয়ে খাদ্যশস্য বিলিবণ্টনের ব্যবস্থায় যে-নজরদারি করেছে, তাতে সুফল মিলেছে। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে এ-পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৪০ জন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement