West Bengal Lockdown

বাড়িতে কোয়রান্টিনের পোস্টারে ‘বাধা’ দেবশ্রীর

সরকারি নির্দেশে দেবশ্রীর ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়ালে হোম কোয়রান্টিনের পোস্টার লাগানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, তখনই দেবশ্রী তাঁদের সেই পোস্টার লাগানোর প্রয়োজন নেই জানিয়ে ফিরিয়ে দেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ফ্ল্যাটের বাইরে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এর পোস্টার দিতে আপত্তির অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

দেবশ্রী রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুদর্শনপুর এলাকায় ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ওঠেন। শনিবার দুপুরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন জন স্বাস্থ্যকর্মী দেবশ্রীর ফ্ল্যাটে যান। তাঁরা সরকারি নির্দেশে দেবশ্রীর ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়ালে হোম কোয়রান্টিনের পোস্টার লাগানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, তখনই দেবশ্রী তাঁদের সেই পোস্টার লাগানোর প্রয়োজন নেই জানিয়ে ফিরিয়ে দেন।

উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মীদের তাঁর ফ্ল্যাটে হোম কোয়রান্টিনের পোস্টার লাগাতে না-দিলে বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখবে।’’ জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা ফোন না ধরায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আপাতত হোম কোয়রান্টিনে থাকবেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখবেন।’’ পরে সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ থানার কয়েক জন পুলিশকে নিয়ে দেবশ্রীর বাড়িতে যান বিএমওএইচ সন্দীপ বাগ। কিন্তু তাঁদের অনুরোধেও দেবশ্রী দরজায় পোস্টার লাগাতে রাজি হননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: বীরভূমে কোয়রান্টিন নিয়ে সংঘর্ষে বোমা-গুলি, হত গ্রামবাসী

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবশ্রী দলীয় নেতা ও কর্মীদের একাংশকে নিয়ে রায়গঞ্জ শহরের বিধাননগর মোড়, মোহনবাটী, নেতাজি সুভাষ রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায় পথচারী ও বাসিন্দাদের মধ্যে মাস্ক বিলি করেন ও পরিয়ে দেন। এর পরেই রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত ও রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূলের পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন।

দেবশ্রীর কথায়, ‘‘৬ এপ্রিল আমার এ রাজ্যে আসার ১৪ দিন হবে। ২৩ থেকে ৩১ মার্চ কলকাতার বাড়িতে ছিলাম। রায়গঞ্জে এসেও আমি বাড়িতে রয়েছি। ওই দিন করোনা নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করতে অল্প সময়ের জন্য বাইরে বার হয়েছিলাম। আমি সুস্থ ও সচেতন আছি। আমার ফ্ল্যাটের বাইরে কোয়রান্টিনের পোস্টার পড়লে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। তাই আমি স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই পোস্টার লাগানোর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছি।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement