শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র।—ফাইল চিত্র।
ডানকুনি-অমৃতসর পণ্য করিডর তৈরি হলে প্রান্তিক স্টেশনে পণ্য মজুত করার চাহিদা বাড়বে। সেটা মাথায় রেখে এখন থেকেই পরিকাঠামো তৈরিতে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র সোমবার নবান্নে এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘ডানকুনিতে সাড়ে ৩৬ একর জমি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। ওই সংস্থা সেখানে পণ্য মজুত রাখা এবং তার পরিকাঠামো তৈরির ব্যবস্থা করবে।’’
শিল্পমন্ত্রী জানান, ফ্রেট করিডর তৈরি হলে লগ্নি আসবে ধরে নিয়ে দু’টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রঘুনাথপুরে ২৬০০ একর জমিতে গড়ে ওঠা শিল্পতালুকটি ইতিমধ্যেই অনুমোদন করেছে কেন্দ্র। পাশেই শিল্পোন্নয়ন নিগমের ৮০০ একরের অন্য একটি শিল্পতালুক রয়েছে। রেলের পণ্য করিডর তৈরির উদ্যোগের মধ্যে প্রস্তুতিতে খামতি রাখছে না রাজ্য।
মুম্বই-দিল্লি ফ্রেট করিডর জাপানি অর্থসাহায্যে তৈরি হলে ডানকুনির ক্ষেত্রে ধানবাদের পরবর্তী অংশে কে বিনিয়োগ করবে, তার কোনও নিশ্চয়তা এখনও নেই। এক দশক ধরে জমি অধিগ্রহণ এবং বিনিয়োগকারীর সন্ধানেই ফ্রেট করিডরের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। যদিও শিল্পমন্ত্রীর দাবি সবকিছু আশানুরূপ ভাবেই এগোচ্ছে। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া আরও দু’টি সিদ্ধান্তের কথা জানান শিল্পমন্ত্রী। ১) আইআইএম জোকা তাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়তে নিউ টাউনে পাঁচ একর জমি চেয়েছিল। মন্ত্রিসভা তা মঞ্জুর করেছে। ২) ডুমুরজোলা স্পোর্টস সিটিতে ক্রিকেট কোচিংয়ের জন্য সিএবি-কে দেওয়া হয়েছে ১৪ একর জমি।