West Bengal Health Commission

১ লক্ষ ‘চেয়েছিলেন’ ডাক্তার, হলফনামা চাইল স্বাস্থ্য কমিশন 

রোগীকে বিশেষ যত্ন নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে রোগীর পরিজনের কাছে ফোনে এক লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বেসরকারি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার আশায় কোভিড আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি করেছিলেন তাঁর পরিজন। কিন্তু রোগীর ‘বিশেষ যত্ন’ নেওয়ার জন্য পৃথক ভাবে বেলভিউয়ের এক চিকিৎসক এক লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠল। সোমবার যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’পক্ষকে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে বললেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রোগীকে বিশেষ যত্ন নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে রোগীর পরিজনের কাছে ফোনে এক লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

এ দিন কোভিড সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি হয় স্বাস্থ্য কমিশনে। তার মধ্যে একটি মামলায় বিল না মেটানোয় হাওড়ার নারায়ণা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ২১ ঘণ্টা রোগীর মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সিউড়ির বাসিন্দা ক্যানসার আক্রান্ত রোগিণীর চিকিৎসা বাবদ বিল হয়েছিল ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। চার লক্ষ ১৫ হাজার টাকা বিল মেটানোর পরে বিমা সংস্থার অনুমতি না মেলায় হাসপাতালের কিছু টাকা মেটানো বাকি ছিল। সেই টাকা মেটাতে না পারায় বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেহ আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সিউড়িতে বাড়ি হওয়ায় পরিজনেরা নিজেরাই হাসপাতালের মর্গে দেহ রেখেছিলেন। এ দিনের শুনানিতে আবেদনকারীরা যোগ না-দেওয়ায় রোগীর পরিজনের বক্তব্য শোনা যায়নি। চেয়ারম্যান জানান, টাকার জন্য কোনও রোগীর দেহ আটকে রাখা যায় না। আগামিদিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আরএকটি মামলায় পনেরো দিনের চিকিৎসায় ১৩ লক্ষ টাকা বিলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন এক রোগীর পরিজন। চেয়ারম্যানের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে বলে তাঁদেরও মনে হয়েছে। এ দিনের পরে দেড় লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিতে হাসপাতাল রাজি হয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি ঘটানোর প্রক্রিয়া হিসাবে দু’পক্ষকে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।

এ দিনের আর একটি উল্লেখযোগ্য মামলায় অভিযোগের কাঠগড়ায় সল্টলেকের আনন্দলোক হাসপাতাল। শ্যামনগরের বাসিন্দা সমীর দেবনাথের অভিযোগ, তাঁর ডানদিকে হার্নিয়া হলেও বাঁ দিকে অস্ত্রোপচার করা হয়! অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যান জানান, চিকিৎসায় গাফিলতি সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির জন্য অভিযোগকারীকে মেডিক্যাল কাউন্সিলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement