গঙ্গার দূষণ রোধ এবং ঘাট সংস্কারের জন্য ১২৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফাইল চিত্র।
হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে গঙ্গার শোধন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। গঙ্গার দূষণ রোধ এবং ঘাট সংস্কারের জন্য ১২৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বরাতে জুটেছে ১২৩ কোটি টাকা। ওই টাকায় চাকদহ পুরসভা এলাকায় গঙ্গা নদীর দূষণ রোধে পরিকাঠামো তৈরি করার কথা।
‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহারের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তাদের প্রাপ্তি সামনে রাখলেই বাংলার সঙ্গে ফারাকটা কত বড়, সেটা স্পষ্ট হয়ে যায় বলে প্রশাসনিক শিবিরের পর্যবেক্ষণ। এই প্রকল্পে উত্তরপ্রদেশে ‘সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ পরিকাঠামোর জন্য ৪২২ কোটি এবং আরও কিছু পরিকাঠামোর জন্য প্রায় ৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ পাচ্ছে ৫১১ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় অর্থে চাকদহ পুরসভা এলাকায় গঙ্গার দূষণ ঠেকাতে ১৩টি এমডিএল-এসটিপি বা মিনিমাল লিকুইড ডিসচার্জ-সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হবে। ওই টাকাতেই এর বাইরে আরও একটি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করার কথা, যার দৈনিক ক্ষমতা ৩০০ কিলোলিটার। এ ছাড়াও শিল্প-বর্জ্য থেকে গঙ্গাদূষণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অধীনে একটি পাইলট প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। সেই প্রকল্পের জন্য আলাদা ভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে ১১৪.৪২ কোটি টাকা।
গত বছরের শেষে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প নিয়ে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন সেই বৈঠকে। সেখানে গঙ্গার ভাঙন সংক্রান্ত সমস্যা তুলে ধরেছিল রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ রাজ্যে গঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে জরুরি ভিত্তিতে যে-পরিকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, তার কোনও উল্লেখ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যদিও অতীতে ভাঙন সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক বার চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।