জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে দুই স্বাস্থ্যকর্তাকে বদলি করল নবান্ন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
জুনিয়র ডাক্তারদের আরও একটি দাবি কার্যকর করল রাজ্য। সরিয়ে দেওয়া হল রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) কৌস্তভ নায়েক এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই) দেবাশিস হালদারকে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এত দিন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা পদে থাকা দেবাশিসকে বদলি করা হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের স্পেশ্যাল অফিসার অন ডিউটি পদে। স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদে থাকা কৌস্তভ নায়েক ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা হচ্ছেন। রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তা হচ্ছেন স্বপন সোরেন। নতুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার নাম পরে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মোট চারটি পদে রদবদলের কথা জানিয়েছে নবান্ন। এত দিন ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন সুপর্ণা দত্ত। তাঁকে বদলি করা হচ্ছে, মেডিক্যাল এডুকেশন বা স্বাস্থ্যশিক্ষার ওএসডি পদে। রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্যকর্তা স্বপন আগে ইনস্টিটিউট অফ ট্রান্সফিউশন মেডিসিন অ্যান্ড ইমিউনোহেমাটোলজির যুগ্ম স্বাস্থ্যকর্তা ছিলেন।
সোমবার রাতে কালীঘাটের বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অধিকাংশ দাবিই তাঁরা মেনে নিয়েছেন। মমতার কথায়, ‘‘৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছি। আর কী করব!’’ তিনি জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচটি দাবির প্রথমটি সিবিআই এবং আদালতের বিষয়। বাকি চারটের মধ্যে তিনটেয় মান্যতা দিয়েছে তাঁর সরকার। তখনই তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানান।
মঙ্গলবার প্রথমে পুলিশের শীর্ষপদে রদবদল করে নবান্ন। বিনীত গোয়েলের পরিবর্তে কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনার নিযুক্ত করা হয়েছে মনোজ বর্মাকে। বিনীতকে পশ্চিমবঙ্গ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএএফ)-এর এডিজি করা হয়েছে।