বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ নিয়ে প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নিল, আজ, বৃহস্পতিবার তা কলকাতা হাইকোর্টকে জানাবেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত।
আগামিকাল, শুক্রবার কোচবিহার থেকে ওই রথযাত্রা শুরু হওয়ার কথা। যাত্রার ব্যাপারে আগাম জানানো সত্ত্বেও রাজ্য সরকার তার মতামত জানায়নি, এই অভিযোগ তুলে ৩০ নভেম্বর মামলা করেছে বিজেপি। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর আদালতে।
বিজেপির পক্ষে আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র, সপ্তাংশু বসু ও ফিরোজ এডুলজি জানান, ৭, ৯, ও ১৪ ডিসেম্বর রাজ্যের তিনটি জায়গা থেকে যে ওই যাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা ২৯ অক্টোবর প্রথম জানানো হয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে। তার পরে একাধিক বার চিঠি দিয়ে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয়। কোন কোন জেলার কোন কোন রাস্তা দিয়ে রথযাত্রা যাবে, বিস্তারিত ভাবে তা জানানো হয় রাজ্য পুলিশের ডিজি ও আইজি-কে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে এ নিয়ে আলোচনার জন্য সময় চাওয়া হয়। সময় মেলেনি। প্রশাসন একটি চিঠিরও উত্তর দেয়নি। এ-ও জানায়নি, যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে কি না।
বিজেপির আইনজীবীরা দাবি করেন, প্রশাসনের উত্তর না-পেয়ে রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করা হয়। রাজ্যপাল প্রশাসনকে চিঠি দেন। তার পরেও প্রশাসন নড়েচড়ে বসেনি।
এজি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে চিঠি পাঠানো উচিত ছিল। তা শুনে বিচারপতি চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, ‘‘ডিজি বা আইজি কি পুলিশ প্রশাসনের কোনও কর্তা নন? যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, অথবা যাত্রা কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে প্রশাসন তো জানিয়েই দিতে পারে। রাজনৈতিক বিষয়ে আদালত সব সময় হস্তক্ষেপ করবেই বা কেন?’’
এজি জানান, যত চিঠি পাঠানো হয়েছে, তার একটিতেও বলা হয়নি কত লোক যাত্রায় অংশ নেবেন, বা জাতীয় স্তরের কোন কোন নেতা হাজির থাকবেন। তাঁর দাবি, এত কম সময়ের মধ্যে এত বড় কর্মসূচি রূপায়ণ করা সম্ভব নয়।
অনিন্দ্যবাবু বলেন, এর আগেও এমন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ তার রায়ে বলেছিল, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া যায় না। তবে, সেই কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যের।