‘ভাল শিক্ষক’-এর কাজ করবে হাজার স্কুল

শুধু ব্যক্তিগত শিক্ষা নয়, চাই শিক্ষার প্রসার। হাতিয়ার প্রযুক্তি। এ বার ডিজিট্যাল ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষার মান বাড়াতে চলেছে রাজ্য। টাকি হাউস গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস বয়েস স্কুলের ৫৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৪
Share:

উদ্বোধন। টাকি হাইস্কুলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

শুধু ব্যক্তিগত শিক্ষা নয়, চাই শিক্ষার প্রসার। হাতিয়ার প্রযুক্তি। এ বার ডিজিট্যাল ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষার মান বাড়াতে চলেছে রাজ্য। টাকি হাউস গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস বয়েস স্কুলের ৫৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গেই ঘোষণা করলেন, এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী জানান, অনেক স্কুলে চমৎকার কিছু শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের থেকে যাতে আরও বহু পড়ুয়া শিখতে পারে। সে জন্যই ডিজিট্যাল ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। ‘‘আমরা হাজারটি স্কুল বেছেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষদের বলেছি দু’টো করে ঘর দিতে। তার পর সেই ঘরে যন্ত্র ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লাস করাবেন শিক্ষক। সেই ডিজিট্যাল ক্লাসরুমে নিজের নিজের স্কুল থেকেই সামিল হতে পারবে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া। এতে অনেকটাই বেড়ে যাবে শিক্ষার মান।’’— বলেন পার্থবাবু।

রাজ্যের শিক্ষায় আরও আলো আনতে বিজ্ঞানশিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। তাঁর পর্যবেক্ষণ, বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার বিষয়ে একটা ভীতি কাজ করে পড়ুয়াদের। শিক্ষকেরাও ভীতি দূর করতে পারেন না সব ক্ষেত্রে। কিছু ক্ষেত্রে বরং শিক্ষকেরাই বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেও কলা বিভাগের বিষয় পড়ানোর দরখাস্ত করেন। এমনটা বাঞ্ছনীয় নয়। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্যও সরকার যে বিশেষ উদ্যোগী, সে কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘শহরের বাইরের স্কুলছাত্রীদের সাইকেল এবং প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের জুতো বিতরণের পর স্কুলব্যাগ দেওয়ার কথা ভাবছি আমরা।’’ সরকারি স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিল অষ্টম শ্রেণির বদলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত করার কথাও ভাবছে রাজ্য। এই খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মন্ত্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন: পড়ার বাইরের ফি জুড়েই মহার্ঘ স্কুল

টাকি হাউস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরেশকুমার নন্দ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পড়াশোনা শেখার জন্য বাংলা মাধ্যমটা বাধা নয়। বরং মাতৃভাষায় শিক্ষা সহজ হয়।’’ এই বিষয়টির প্রশংসা করেন শিক্ষামন্ত্রীও। জানান, বাংলা মাধ্যম স্কুল হিসেবে এই স্কুলটি যে ভাবে মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলেছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। ইতিমধ্যেই স্কুলটির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তৃতীয় ক্যাম্পাস তৈরি করার কথাও ভাবার সময় এসে গিয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা কানাইলাল মুখোপাধ্যায়ের একটি আবক্ষ মূর্তির পর্দা উন্মোচন করেন পার্থবাবু। বলেন, ‘‘যে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ব্যক্তিবিশেষের উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা নেয়। সরকার সহায়তা করতে এগিয়ে আসে পরে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement