প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের কোষাগারে টানাটানি! তাই আয় বাড়াতে ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে রাজ্য লটারি।
আগামী এপ্রিল থেকে দক্ষিণ ও উত্তর ভারতে ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লটারির’ টিকিট বিক্রি শুরু হবে। রাজ্যের আশা, এর ফলে আড়াইশো কোটি টাকা রোজগার হবে। তবে শুরুতেই নয়, সময় লাগতে পারে দু’-তিন বছর।
দেশে কয়েক বছর আগে নতুন লটারি আইন হয়েছে। সেই আইনে কোনও রাজ্যের নিজস্ব লটারি চালু থাকলেও অন্য রাজ্যের লটারির টিকিট বিক্রির পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন কেরল, পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, গোয়া, মহারাষ্ট্র, সিকিম, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর ও মেঘালয়— এই ১৩টি রাজ্য নিজেদের লটারি চালায়। নতুন আইন চালু হওয়ার পরে এ রাজ্যের বাজারে ঢুকে পড়েছে কেরল, নাগাল্যান্ড, সিকিম-সহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির লটারির টিকিট। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লটারির টিকিট ভিন্ রাজ্যে বিক্রির চেষ্টা হয়নি।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের বক্তব্য, বাম জমানায় ‘জুয়াড়ি প্রবণতার নিয়ন্ত্রিত প্রসার’ নীতি নেওয়ায় ঢালাও লটারি হত না। ফলে বিভিন্ন রাজ্য দৈনিক লটারি চালালেও এ রাজ্যে শুধু সাপ্তাহিক খেলা হত। আর বছরে এক কোটি টাকা পুরস্কার মূল্যের ছ’টি বাম্পার খেলা চালু ছিল। যদিও নবান্নের কর্তাদের বক্তব্য, ‘‘বাম জমানাতেই লটারি আইন বদলে ‘লোটো’র মতো অনলাইন লটারি খেলা চালু হয়েছিল। ফলে যখনই বিকল্প রাজস্বের খোঁজ পড়েছে, তখন সব সরকারকেই নতুন পথ বেছে নিতে হয়েছে।’’
আয় বাড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সাপ্তাহিক লটারির বদলে দৈনিক লটারি চালু করেছে। তাতে এ বছরে রাজস্ব আদায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তার পরেও এ রাজ্যের বাজারের মাত্র ৩০% পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লটারির দখলে। অর্থ দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, রাজ্যের বাজারের অধিকাংশ ধরা গেলে বছর দুয়েকের মধ্যেই ৫০০ কোটি টাকা রোজগার সম্ভব।
নবান্নের এক কর্তা জানান, কেরল সরকার গোটা দেশে লটারির টিকিট বিক্রি করে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা তোলে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিও মোটা টাকা রোজগার করে। ‘‘
যদি অন্য রাজ্য এখানে এসে টিকিট বিক্রি করতে পারে, তা হলে আমরাও সেই সব রাজ্যে গিয়ে টিকিট বিক্রি করে নতুন বাজার ধরব’’— মন্তব্য অর্থ দফতরের এক কর্তার।