মাওবাদীদের রুখতে নয়া বাহিনী রাজ্যের

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলার জন্য ‘স্পেশ্যাল ট্রেন্ড আর্মড ব্যাটেলিয়ন’ (স্ট্যাব) গঠন করবে রাজ্য সরকার।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরিকল্পনা আগেই করেছিল রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে জঙ্গলমহলের দু’টি জেলার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়া হল।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলার জন্য ‘স্পেশ্যাল ট্রেন্ড আর্মড ব্যাটেলিয়ন’ (স্ট্যাব) গঠন করবে রাজ্য সরকার। এক-একটি জেলার জন্য ওই বাহিনীতে ১০০৭টি করে মোট ২০১৪টি পদ তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত এবং আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী ওই দু’টি জেলায় মাওবাদীদের গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। কোনও সমস্যা হলে তারও মোকাবিলা করবে স্ট্যাব। মন্ত্রিসভা এ দিন ওই বাহিনী তৈরির প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়ার পরে এ বার তার গঠন চূড়ান্ত করবে রাজ্য।

পুলিশ শিবিরের একাংশের ব্যাখ্যা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বীরভূমের একটি অংশ মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত ছিল কিছু দিন আগেও। মাওবাদী উপদ্রব কমার পরে ওই এলাকাগুলিকে সেই তালিকা থেকে বাদ দেয় কেন্দ্র। তখন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলি শুধু ‘সিকিয়োরিটি রিলেটেড এক্সপেন্ডিচার’ বা এসআরই এলাকার তালিকাভুক্ত ছিল। সর্বশেষ সংশোধনীতে এসআরই তালিকা থেকেও বাদ পড়ে যায় ওই সব জেলা। পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে তৈরি হওয়া নতুন জেলা ঝাড়গ্রাম এখন শুধু এসআরই তালিকায় রয়েছে। এই প্রক্রিয়ার সমান্তরালে জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও কমিয়েছে কেন্দ্র। পুলিশি সূত্র জানাচ্ছে, এখন শুধু ঝাড়গ্রামে কমবেশি ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

Advertisement

রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে মাওবাদী দৌরাত্ম্য কমে গেলেও সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত হবে না। কেননা তা করা হলে অন্য জায়গা থেকে মাওবাদীরা ফের জঙ্গলমহলে এসে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই বাহিনী বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছিল রাজ্যে। প্রশাসনের অন্দরের খবর, কেন্দ্র সেই আর্জিতে কান দেয়নি। তখনই নিজেদের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার। এ দিন সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হল।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে খড়দহ থানা ভেঙে নতুন রহড়া থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement