কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। ফাইল চিত্র।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাব আছে বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করলেন কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তাঁর আরও অভিযোগ, ২০২০ সালের ১৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর রাজ্যকে ১৩টা অ্যাডভাইসরি পাঠিয়েছে। রাজ্য একটারও উত্তর দেয়নি। সুতরাং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ আছে। সুভাষ এ দিন কলকাতায় একাধিক কর্মসূচিতে যোগদানের ফাঁকে বিজেপির রাজ্য দফতরে বলেন, “রাজ্য সরকার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পরিকল্পনাবিহীন। এখনও সময় আছে। রাজ্য সরকার চাইলে সেই পরিকল্পনা করতে পারে।”
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সুভাষবাবু চারটি পরামর্শ দিয়েছেন। এক, সব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর দু’ডোজ় করে করোনার টিকা নেওয়া হয়েছে কি না, সেই রিপোর্ট রাজ্য সরকারের নেওয়া উচিত। দুই, স্কুল খোলার ১৫ দিন পরে সব পড়ুয়ার এক বার করে করোনা পরীক্ষা করা দরকার। তিন, ক্লাসে কোভিড বিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে পড়ুয়াদের বসার ব্যবস্থা করা উচিত। একটি ক্লাসের সব পড়ুয়া যেন এক দিনে ক্লাসে উপস্থিত না থাকে। চার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে অভিভাবকদের মত নেওয়া উচিত। সুভাষের আরও মন্তব্য, “পুজোর পরে কোভিড বাড়ছে। এই সময় রাজ্য সরকার যেন পরীক্ষা কম করিয়ে পরিসংখ্যান না লুকোয়।”
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অবশ্য পাল্টা কটাক্ষ, “আমি আগরতলায় আছি। এখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা এবং পরিস্থিতি দেখে মনেই হচ্ছে না, করোনা বলে কিছু আছে। সুভাষবাবু বরং আগে ত্রিপুরায় ওঁর নিজের দলের সরকারকে ওই পরামর্শগুলো দিন। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কখনওই করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান লুকোয়নি। বরং, ২০২০ সালের গোড়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে মাতামাতি করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনার বিপদটাই চেপে গিয়েছিলেন।”