পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে এ বার দিল্লিতে গিয়ে মহার্ঘভাতা (ডিএ)-র দাবি নিয়ে ধর্নায় বসলেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে এ বার দিল্লিতে গিয়ে মহার্ঘভাতা (ডিএ)-র দাবি নিয়ে ধর্নায় বসলেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ডিএ-র দাবিতে ধর্নায় বসেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রায় ৫০০ সদস্য। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত এই ধর্না কর্মসূচি চলবে। দু’দিনের এই ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতা থেকে দু’দফায় দিল্লি পৌঁছেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। ধর্না কর্মসূচি চলাকালীন আন্দোলনকারীদের তরফে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কথাও রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। এ বার আমরা দিল্লিতে এসে দু’দিনের জন্য ধর্না কর্মসূচিতে বসেছি। আমরা রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশেন জমা দেওয়ার প্রস্তুতিও রেখেছি। ডাকা হলেই আমাদের প্রতিনিধি দল গিয়ে ডেপুটেশেন জমা দিয়ে আসবে।’’
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজধানীতে। রবিবার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস ধরে আরও ৩০০ জন দিল্লি পাড়ি দেন। তবে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের দিল্লিযাত্রাকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, যে সমস্ত সরকারি কর্মচারী ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নিতে দিল্লি গিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে কড়া ব্যবস্থা।
রাজ্য সরকার মনে করছে, ডিএ-র দাবিতে বার বার কর্মবিরতি এবং প্রশাসনিক ধর্মঘটের কারণে সরকারের পরিষেবা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। এর পর আবার সরকারি কর্মীরা দু’দিনের জন্য দিল্লিতে গিয়ে ধর্নায় বসার কারণে বিভিন্ন দফতরের কাজে প্রভাব পড়বে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি তুলছে নবান্নের একাংশ। নবান্ন সূত্রে খবর, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজধানীতে গিয়ে ধর্না দেওয়ার কর্মসূচির নেপথ্যে বিরোধীদের ইন্ধন রয়েছে বলেও মনে করছে রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যে ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসবেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্য।