শিক্ষা সংসদে রদবদলের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
সরকার আদৌ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভাঙতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন জোরদার হয়ে উঠছিল।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বুধবার সংসদে রদবদলের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি। এ দিন কলকাতায় এক অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চান, শিক্ষা সংসদে রদবদল নিয়ে সরকার কিছু ভাবছে কি? সরাসরি স্পষ্ট জবাব না-দিয়ে পার্থবাবু পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘সংসদের বিষয়ে শিক্ষকদের কী আসে-যায়?’’ তার পরে তিনি ইঙ্গিত দেন, সংসদ নিয়ে এখনই কোনও পদক্ষেপ করতে চায় না সরকার।
সম্প্রতি তৃণমূল ভবনে দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে এক বৈঠকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অস্তিত্ব নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীই বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন সেখানে উপস্থিত শিক্ষকেরা। এক শিক্ষক বলেছিলেন, ‘‘বিভিন্ন জেলা সংসদের চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ শুনে মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, সংসদই আর থাকছে না।’’ প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কি সংসদ ভেঙে ফেলা হবে? তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সংসদগুলি কী কাজ করে, তার মূল্যায়ন চলছে। রিপোর্ট পেয়ে তিনি দেখবেন, কী করা যায়। কিন্তু এ দিন অনুষ্ঠানের শেষে সংসদে রদবদল নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পার্থবাবু বলেন, ‘‘সংবাদপত্রে পড়লাম। তবে খবরের কাগজ বললেই তো হবে না। এ বিষয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।’’
সংসদ ভেঙে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে জেনে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বিভিন্ন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, এখন তো সংসদের কোনও ক্ষমতাই নেই। শুধু শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে সংসদ। এই অবস্থায় সংসদ বিলুপ্তির আশঙ্কায় স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। এ দিন পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সংসদ-কর্তাদের মনে।