রাজ্যের ৯৩টি পুরসভায় ওয়ার্ড সংরক্ষণ শুরু

রাজ্যের ৯৩টি পুরসভায় ওয়ার্ড সংরক্ষণ শুরু হয়েছে। তার খসড়া বেরোনোর কথা ৩১ ডিসেম্বর।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:১০
Share:

রাজ্য নির্বাচন কমিশন।—ফাইল চিত্র।

কয়েক মাস পরেই কি রাজ্যে পুর নির্বাচনের দামামা বাজতে চলেছে? রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং জেলা প্রশাসনগুলির তৎপরতা থেকে অন্তত সেই ধরনের ইঙ্গিতই মিলছে।

Advertisement

রাজ্যের ৯৩টি পুরসভায় ওয়ার্ড সংরক্ষণ শুরু হয়েছে। তার খসড়া বেরোনোর কথা ৩১ ডিসেম্বর। ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত খসড়া নিয়ে আপত্তি জানানো যাবে। আপত্তি নিয়ে বিচার-বিবেচনা চলবে আরও এক সপ্তাহ ধরে। এই সব পদ্ধতি শেষ করে ২৪ জানুয়ারি ওয়ার্ড সংরক্ষণের নথি কমিশনে পাঠাবে জেলা প্রশাসন। তার পরে সংরক্ষণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। এ ক্ষেত্রে সাধারণত জেলা প্রশাসনের পাঠানো প্রস্তাবকেই মান্যতা দিয়ে থাকে তারা। প্রয়োজনে অবশ্য বদলও করতে পারে কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী খসড়া প্রকাশের দিন থেকে ১০ সপ্তাহ পরে নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচিত পুর বোর্ডের মেয়াদ ফুরোলেও বোলপুর ও সিউড়িতে এখনই ওয়ার্ড সংরক্ষণের কাজ হচ্ছে না। কারণ, ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের কাজ চলছে সেখানে। তা শেষ হলেই সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।

আগামী মে-জুনে রাজ্যের ৯১টি পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরোবে। অক্টোবরে মেয়াদ শেষ হবে বিধাননগর ও আসানসোল পুর বোর্ডের। দার্জিলিং পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ড নেই। সেখানে দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করেছেন প্রশাসক। ২০১৮ সালে হাওড়া-সহ ১৭টি পুরসভার পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেখানে প্রশাসকেরা দৈনন্দিন কাজ দেখছেন। সব মিলিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে ১১২টি পুরসভায় ভোটের সম্ভাবনা।

Advertisement

নানা চর্চা চললেও হাওড়ায় ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস হয়নি। সেখানে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া প্রকাশিত হয়েছে ২০ ডিসেম্বর। সেই অনুযায়ী সেখানে ১০ সপ্তাহ পরে নির্বাচন করা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement