রাজ্যের নানা প্রান্তে দলীয় দফতর গড়ার লক্ষ্যে জমি কিনতে শুরু করেছিল বিজেপি। এ বার নোট বাতিলের আবহে সেই পদক্ষেপ ঘিরেও বিতর্ক উস্কে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষই বিজেপি-র জমি কেড়ে নিতে পারে বলে ঘোষণাও করে দিয়েছেন তিনি!
বিধানসভায় নোট বাতিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাবের উপরে আলোচনার সময়ে বিজেপির জমি কেনা সংক্রান্ত নথি তুলে তদন্ত দাবি করেছেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, নোট বাতিল হবে জেনেই কি বিজেপি জমি কেনায় সেই টাকা বিনিয়োগ করেছে? ঘটনাটিকে ‘বড় কেলেঙ্কারি’ আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত দাবি করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি কি এই জমি রাখতে পারবে? মানুষই জমি দখল করে নেবে!’’ ঘটনা হল, সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে বিভিন্ন রাজ্যেই জেলা ধরে ধরে জমি কিনছে বিজেপি। বারুইপুর বা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে জমি কেনা হয়েছেদলের সর্বভারতীয় সভাপতির নামে। নোট বাতিলের সঙ্গে সম্প্রতি বিহারে জমি কেনার সময় কাছাকাছি হয়ে যাওয়ায় বিতর্ক হয়েছে। সেই উদাহরণ দিয়েই সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর তির্যক মন্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষের (বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতিকে হিন্দিতে এই ভাবেই সম্বোধন করা হয়) নামে জমি কেনা হচ্ছে। যেন প্রেসিডেন্সিয়াল এস্টেট হচ্ছে!’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছেন, ‘‘দেশের সব জেলায় সর্বভারতীয় সভাপতির নামে জমি কেনা হচ্ছে। এটাই দলীয় সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তও হয়েছে কয়েক মাস আগে। মুখ্যমন্ত্রী এখন এই সব মন্তব্য করে বিশৃঙ্খলায় মদত দিচ্ছেন!’’