কেমন সেই কর্মসূচি? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’মাসের তৃণমূলে নবজোয়ার যাত্রা শেষ হতে না হতেই পথে নামছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই যাত্রার নাম দেওয়া হয়েছে ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’। কবে থেকে শুরু হবে তা ঠিক না হলেও গেরুয়া শিবিরের সিদ্ধান্ত ২১ দিনের কর্মসূচিতে রাজ্যের ২০০টি বিধানসভা এলাকা জুড়ে হবে এই পদযাত্রা। মূলত নেতৃত্ব দেবেন দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যের। সেই সঙ্গে রাজ্যের সব নেতা, সাংসদ, বিধায়কেরাও যোগ দেবেন এই পদযাত্রায়। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও পদযাত্রায় থাকার কথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
গত ২৫ মার্চ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কোচবিহার থেকে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। উত্তরবঙ্গ শেষ করে সেই যাত্রা ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়েছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা। রাজ্য বিজেপি এখনও পদযাত্রা শুরুর দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও জানা গিয়েছে, অভিষেকের সফর চলার মধ্যেই তা শুরু হবে। শেষ হবে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবে প্রথমে সীমান্ত গ্রামে সম্পর্ক অভিযান চালায় যুব মোর্চা। এর পরে জলপাইগুড়ি থেকে শুরু হয় গ্রাম সম্পর্ক অভিযান। ৫০টি গ্রামীণ বিধানসভা এলাকার ৫০০টি গ্রামে যাওয়ার কর্মসূচি শেষ হলেই শুরু হতে চলেছে পদযাত্রা। ঠিক হয়েছে, মোট পাঁচ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা হবে। ২০০টি বিধানসভা এলাকার পাঁচ হাজার গ্রামে যাওয়ার লক্ষ্য। তবে কোনও বড় সমাবেশ কোথাও হবে না। ছোট ছোট আকারে ‘হাট সভা’ ও ‘পঞ্চায়েত সভা’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়ে গ্রামে বিজেপির সমর্থনে দেওয়াল লিখন এবং বাড়ি বাড়ি সম্পর্কের কর্মসূচিও চলবে। এর জন্য ৪২টি লোকসভা এলাকার জন্য ৪২টি কমিটিও তৈরি করে ফেলেছে যুব মোর্চা।
এই কর্মসূচি কি তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির অনুকরণ? এর উত্তরে রাজ্য বিজেপির যুব সভাপতি ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘তা কেন? আমরা তো অনেক আগেই গ্রাম সম্পর্ক অভিযান শুরু করেছি। তার পরে তো তৃণমূলের কর্মসূচি।’’ এ ছাড়াও তৃণমূলের সঙ্গে যুব মোর্চার কর্মসূচির ফারাক রয়েছে দাবি করে ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘তৃণমূলের যেটা চলছে, সেটা আসলে দলের পরিস্থিতি সমীক্ষা। দুর্নীতি নিয়ে মানুষের মনোভাব বোঝার চেষ্টা। সেটাও আবার পরিচালনা করছেন ভাড়া করা পেশাদাররা। আর আমাদের কর্মসূচির প্রাণ হবেন আমাদের কর্মীরাই।’’