শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
নদিয়ায় অমিত শাহ না এলেও পাশের জেলায় আসছেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে যত বেশি সম্ভব লোক নিয়ে যেতে কোমর বাঁধছে বিজেপি।
কাল, শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শুধু নদিয়া দক্ষিণ থেকে ৫০ হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, মতুয়া সংগঠনের তরফেও রানাঘাট লোকসভা এলাকা থেকে লোক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাসে এবং গাড়িতে ।
সংখ্যাধিক্যের কারণেই রানাঘাট লোকসভা আসনে মতুয়া ভোট গুরুত্ব পাচ্ছে। মতুয়াদের কাছে টানতে মাঠে নেমেছে তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষই। বিভিন্ন জায়গায় মতুয়া সংগঠনের তরফে ধর্মসভা ডাকা হলেও বিজেপি বা তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতি নজরে পড়েছে। মতুয়া-সদর ঠাকুরনগরে মোদীর আসার সুযোগে মতুয়াদের মধ্যে জনসংযোগ আরও এক বার ঝালিয়ে নিতে চাইছে বিজেপি।
বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে যে আটটি বিধানসভা এলাকা পড়ে, তার মধ্যে কল্যাণী এবং হরিনঘাটা বাদে বাকি ছ’টিই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। আটটি বিধানসভা এলাকার বেশির ভাগ অংশেই মতুয়া ভোটের প্রাধান্য রয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, মতুয়া ভোট যে সব জায়গায় বেশি, যেমন কৃষ্ণগঞ্জ বা রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভা এলাকার এক-একটি থেকে ১০ হাজার করে লোক নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য অনেক মণ্ডল কমিটি থেকে প্রয়োজনে ৪০-৫০টি বাসের ব্যবস্থা করা হবে। বাকি বিধানসভা এলাকাগুলি থেকে গড়ে ৭-৮ হাজার করে লোক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
জেলা বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, জেলায় রোজ গড়ে প্রায় সাড়ে ছ’শো বাস চলাচল করে। তার প্রায় ৭০ শতাংশই মোদীর জনসভায় লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া করা হয়েছে। এ ছাড়াও নেওয়া হচ্ছে নানা ছোট গাড়ি। রানাঘাট মহকুমা এলাকার যে সব জায়গার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর রেল যোগাযোগ ভাল, সেই সব এলাকা থেকে অনেকে ট্রেনেও যাবেন। বিজেপি-ঘনিষ্ঠ অন্তত পঁচিশ হাজার মতুয়াকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন নেতারা।
বিজেপির দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকারের দাবি, “তৃণমূল হুমকি ও বাধা দেওয়ায় অনেক জায়গায় আমরা গাড়ি ও বাস পেতে সমস্যায় পড়ছি।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের পাল্টা, “মিথ্যার ফাটা রেকর্ড বাজাতেই ওরা অভ্যস্ত। উত্তর দেওয়ার দরকার নেই !’’