নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
সভাস্থলই ঠিক হয়নি। অথচ ১০ দিনের মধ্যে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর সভার দু’টি তারিখ ঘোষণা করে দিল রাজ্য বিজেপি। একই সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, ২০ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের যে সভা হওয়ার কথা, তা-ও হবে। শাহ ভাল আছেন। যদিও বুধবার শাহ নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন, তাঁর সোয়াইন ফ্লু হয়েছে। এ ধরনের অসুখ থেকে এত দ্রুত সুস্থ হয়ে সভা করা যায় তো? প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।
বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘২৮ এবং ৩১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এ রাজ্যে সভা করবেন। তবে সভাস্থল এখনও ঠিক হয়নি।’’ দলীয় সূত্রের খবর, ওই দু’টি সভার একটি শিলিগুড়ি বা জলপাইগুড়িতে এবং অন্যটি বনগাঁর ঠাকুরনগরে হতে পারে। মতুয়া ভোটকে নিশানা করতেই ঠাকুরনগর অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীকে এনে সভা করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি।
তবে দলেরই একাংশের প্রশ্ন, হাতে আর মাত্র ১০ দিন। এখনও জায়গাই ঠিক হল না। কী করে এত দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন হবে? প্রধানমন্ত্রীর সভা আর অনুমতি না নিয়ে রাজ্য সভাপতির সভার আয়োজন করা তো এক কথা নয়!
এ দিকে বুধবার রাতেই শাহ টুইট করেছিলেন যে, তাঁর সোয়াইন ফ্লু হয়েছে। রাতেই এইমসে ভর্তি হন তিনি। রাহুল এ দিন বলেন, ‘‘আমরা চাই উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। রাজ্যের সভা তিনি এখনও বাতিল করেননি। তবে শাহ একান্তই আসতে না পারলে কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের এনে আমরা ৫টি সভা করব।’’ রবিবার মালদহে, সোমবার সিউড়ি ও ঝাড়গ্রামে এবং মঙ্গলবার জয়নগর ও কৃষ্ণনগরে সভা করার কথা শাহের। দলীয় সূত্রের দাবি, শাহ না এলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীরা সভাগুলি করতে পারেন। যদিও কৈলাস এ দিন সিউড়িতে দাবি করেন, ‘‘শাহই সভা করবেন। আমার সঙ্গে ওঁর কথা হয়েছে। উনি ভাল আছেন।’’
অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী এ দিন নবান্নে মুখ্যসচিবের দফতরে গিয়ে চারটি রথযাত্রা করার জন্য আবেদনপত্র জমা দেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।