বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার সুফল তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিতে চায় তৃণমূল সরকার। সেই উদ্দেশ্যে শুক্রবার রাজ্যের ৩৯টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান, গবেষণার ফল যাতে নিচু তলা পর্যন্ত পৌঁছয়, সেই জন্য ওই সব সংস্থার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হবে।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইআইটি খড়্গপুর, এনআইটি দুর্গাপুর, শিবপুর আইআইইএসটি-র অধিকর্তা-সহ বেশ কিছু সংস্থার প্রধানেরা। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক জানলা পদ্ধতির উপরে জোর দেন আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী। তিনি জানান, সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসূত্রতার অভিজ্ঞতা তাঁদের হচ্ছে। ব্রাত্যবাবু পরে বলেন, ‘‘এই বিষয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা জগতের সঙ্গে সরকারের নিবিড় যোগাযোগ থাকুক।’’ এনআইটি দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসুর বক্তব্য, অনেক সময় গবেষণাগারে যে-কাজ হয়, তার খবর সাধারণ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছয় না। সরকারের সহায়তায় সেটা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। সাধারণের সব থেকে বড় সমস্যা কী, তা-ও জানা সম্ভব সরকারের সাহায্যে। সেই সব সমস্যার সমাধানে গবেষণা চালানো যায়। তাই গবেষণা সংস্থা এবং সরকারের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ থাকা প্রয়োজন।
দু’পক্ষের কাছে যে-সব তথ্য আছে, তা যাতে দু’পক্ষই প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে, সেই বিষয়েও কথা হয় এ দিনের বৈঠকে। মন্ত্রী জানান, সব তথ্য মিলিয়ে একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরির চেষ্টা করা হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন বলে বৈঠকে মত প্রকাশ করেন অনেকেই। মন্ত্রী জানান, যে-সব বিষয়ে আশু নজর দেওয়া দরকার, আপাতত সেগুলোই দেখা হচ্ছে। পরে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করা হবে। তৈরি হবে রোডম্যাপ।