প্রতীকী ছবি।
গত বছরে কিছুটা দেরি হয়েছিল। আসি আসি করেও আসছিল না বর্ষা। তবে এ বার তেমনটা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময়েই বর্ষার আগমণ ঘটতে চলেছে দেশে। বাংলাতেও শ্রাবণধারা ঝরবে নির্দিষ্ট সময়েই। কেন্দ্রীয় মৌসম ভবন সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাষিরাও। সময়ে এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে খারিফ শস্যের ফলন ভাল হয়। গত বছরে কিছুটা দেরিতে বর্ষা ঢোকায় চাষবাসের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এ বছর বর্ষা সঠিক সময়ে হলে, খারিফ শস্য উৎপাদনে তেমন কোনও বাধা থাকবে না বলে মনে করছেন কৃষকেরা।
সাধারণত পয়লা জুন কেরল হয়ে বর্ষার প্রবেশ ঘটে এ দেশে। তার পর তামিলনাড়ু, কর্নাটক, গোয়া, অন্ধ্রপ্রদেশ হয়ে একে একে সব রাজ্যে বর্ষার আগমন ঘটতে থাকে। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে বর্ষা ঢোকে উত্তরবঙ্গ হয়ে। পাহাড়ের বিভিন্ন জেলায় ৭-৮ জুন থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। দক্ষিণবঙ্গ-সহ কলকাতায় বর্ষা ঢোকে সাধারণত ১১ তারিখ নাগাদ। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর যা গতিবিধি রয়েছে, তাতে কেরল থেকে বাংলায় নির্দিষ্ট সময়েই আসবে বর্ষা।
আরও পড়ুন: লকডাউনে কোথায় ছাড়, কোথায় নয়, দেখে নিন
আরও পড়ুন: রাজস্থান ৩৫ হাজার, পশ্চিমবঙ্গ ৩১০০, কোন রাজ্যে করোনা টেস্ট কত
এ রাজ্যের পর মৌসুমীবায়ুর প্রবেশ ঘটবে প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহারে। এই তিন রাজ্যে ১২ থেকে ১৮ জুনের মধ্যে বর্ষা শুরু হয়ে যায়।