ফণীর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফাইল চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ফণী ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। দিল্লি মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ফণীর অভিমুখ তামিলনাড়ু থেকে ক্রমশই ওডিশার দিকে এগিয়ে যাবে। এর ফলে ওডিশার উপকূলে যেমন ঝড় বৃষ্টি হবে, তেমনই তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র-উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও ।
আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর, ওডিশা উপকূলের কাছাকাছি ফণী পৌঁছনোর পরই ধীরে ধীরে শক্তি হারাবে, কিন্তু তার জেরে উপকূলবর্তী জেলা দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা-সহ কয়েকটি জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত হতে পারে।
যদিও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ফণীর অভিমুখের উপরেই। কতটা শক্তি বাড়িয়ে ফণী ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়বে, তার উপরেই নির্ভর করবে এ রাজ্যের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
আরও পড়ুন: ঘনিয়ে আসছে বিপদ, দেখে নিন কতটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে ফণী
আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ফণীর যা অভিমুখ রয়েছে, তার জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রভাব পড়তে পারে। গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গে চলা তাপপ্রবাহে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সেই তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি রয়েছে আজও। ফেণীর প্রভাবে বৃষ্টি হলে স্বস্তি পাবেন রাজ্যবাসী, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াচ্ছে ফণী, ১৮৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে বুধবার
ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু, ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ফণীর অভিমুখের দিকে আপাতত নজর রেখেছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।