অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে কী কী জানতে চাইতে পারেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তারা, বিভিন্ন সূত্র মারফত তার একটা আভাস পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, অর্পিতার কাছে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন ইডি কর্তারা। তার পাশাপাশি তাঁরা জানতে চাইতে পারেন, ওই টাকা অর্পিতার স্বোপার্জিত, না কি কেউ তাঁকে রাখতে দিয়েছিলেন? প্রশ্ন তোলা হতে পারে, কী কারণে এত টাকা বাড়িতে রাখা হয়েছিল? সেই সূত্রে অর্পিতার আয়ের উৎস কী, তা-ও জানতে চাইতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ২১.৯ কোটি টাকা, ৭৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না, প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং ১৮টি মোবাইল উদ্ধার করেন ইডির কর্তারা। তার পরই শনিবার গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকে। ইডি তখনই বলেছিল, অর্পিতা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ’। এমনকি, পার্থের বাড়িতে অর্পিতার সম্পত্তির বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করে ইডি। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, অর্পিতাকে হেফাজতে পেলে ইডি জানতে চাইতে পারে পার্থের বাড়িতে তাঁর নামে কেনা সম্পত্তির নথিপত্র গেল কী ভাবে?
সূত্রের খবর, অর্পিতার বাড়িতে মিলেছে বিদেশি মুদ্রা। সেই বিদেশি মুদ্রার উৎস নিয়েও অর্পিতাকে প্রশ্ন করতে পারে ইডি। পেশায় মডেল এবং টলিউড, ওড়িয়া এবং তামিল ছবির অভিনেত্রীর কাছে অত বিদেশিমুদ্রা কী ভাবে এল, সে প্রশ্নও করা হতে পারে অর্পিতাকে। জানা গিয়েছে, অর্পিতা বেশ কয়েক বার বিদেশযাত্রাও করেছিলেন। ইডি সূত্রে খবর, সেই সমস্ত বিদেশযাত্রার নথিও সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হতে পারে।
এ ছাড়াও আরও একটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে অর্পিতাকে। ইডির দেওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, অর্পিতার বাড়িতে উদ্ধার হওয়া বিপুল নগদের মাঝে পড়ে রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের একটি খাম। অর্পিতা, যাঁর সরকারি শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তাঁর কাছে শিক্ষা দফতরের খাম এল কী ভাবে, তা-ও জানতে চাওয়া হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।