প্রতীকী ছবি।
আসন্ন মহোৎসবে বিদ্যুৎ নিয়ে সম্ভাব্য সমস্যা এড়াতে কর্মী-অফিসারদের ছুটি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হয়েছে আগেই। কেননা ওই সময়ে বিভ্রাটের কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। উৎসবের দিনগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বিভিন্ন সাবস্টেশন-সহ লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ কী রকম হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে এ বার চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ ভবন সূত্রের খবর, জেলায় গিয়ে সব দিক খতিয়ে দেখে তাঁরা দু’দিনের মধ্যে সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন।
লোকসভা ভোটের সময়েও একটানা বিদ্যুৎ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেই মর্মে নির্দেশও দেওয়া হয় কর্মী-অফিসারদের। কিন্তু ভোটের মুখে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের অভিযোগ ওঠে। বিদ্যুৎ সূত্রের খবর, সেটা মাথায় রেখেই এ বার চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের যেতে বলা হয়েছে হাওড়া, দুই বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, নদিয়া, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং মালদহে। ওই সব জেলার প্রতিটি ডিভিশনের ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কোথাও খামতি থাকলে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেবেন তাঁরা।
সিইএসসি এলাকার বাইরে এ বছর রাজ্যে পঞ্চমী, ষষ্ঠীতে বিদ্যুতের চাহিদা ৭,৩২০ মেগাওয়াটে পৌঁছবে বলে কর্তাদের ধারণা। চাহিদা মেটাতে রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি পুজোর সময় টানা ৩,৪০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তুতি সেরে রাখছে। পুরুলিয়া পাম্প স্টোরেজ থেকে মিলবে কিছুটা। চুক্তি অনুযায়ী বাকি বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে ডিভিসি, এনটিপিসি। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকা সত্ত্বেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুজোর সময় কোনও বিভ্রাটে প্রশাসনের অন্দরমহলে বিতর্ক তৈরি হোক, বণ্টনকর্তারা তা চাইছেন না। তাই অনেক আগেই প্রতিটি ডিভিশনে লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতি বুঝে নিতে এ বার জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের।