Calcutta High Court

স্কুলে অনুপস্থিত, ‘নুন-ভাতে’ সাসপেন্ড শিক্ষিকা

শর্মিষ্ঠার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং অর্ক নন্দী জানান, ২০১৯ সালে ওই স্কুলে পরিদর্শনে এসেছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মীরা। দেখা যায়, মিড-ডে মিলে শুধু ভাত-নুন দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:৩৩
Share:

—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP

ঘটনার সময় স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। অথচ মিড-ডে মিলে শুধু ‘নুন ভাত’ খাওয়ানোর অভিযোগে সেই শিক্ষিকাকেই সাসপেন্ড করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার এমনই তথ্য উঠে এসেছে কলকাতা হাই কোর্টে। বেআইনি ভাবে সাসপেন্ড করার অভিযোগে মামলা করেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ নামে চুঁচুড়ার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকা। সেই মামলায় শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। ৪ অগস্ট মামলার শুনানি।

Advertisement

শর্মিষ্ঠার আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং অর্ক নন্দী জানান, ২০১৯ সালে ওই স্কুলে পরিদর্শনে এসেছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মীরা। দেখা যায়, মিড-ডে মিলে শুধু ভাত-নুন দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে শোরগোল হলে শর্মিষ্ঠা এবং স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার উপরে দায় পড়ে। শর্মিষ্ঠাকে সাসপেন্ড করা হয়। অথচ নথি অনুযায়ী, ওই ঘটনার দু’দিন আগে থেকে শর্মিষ্ঠা ছুটি নিয়েছিলেন। তাঁরা আরও জানান, চার বছর আগে সাসপেন্ড করা হলেও শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তাঁর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার সাসপেনশন উঠলেও শর্মিষ্ঠার ক্ষেত্রে তা হয়নি।

শর্মিষ্ঠার আইনজীবীদের আরও অভিযোগ, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করতে হলে প্রথমে স্কুল সেই ব্যাপারে জেলা পরিদর্শককে অভিযোগ জানায়। জেলা পরিদর্শক সেই অভিযোগ মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে পাঠান। পরিদর্শকের রিপোর্টের ভিত্তিতে পর্ষদ সাসপেন্ড করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট স্কুলের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, ওই স্কুলের তরফে কোনও অভিযোগই করা হয়নি। জেলা পরিদর্শক সরাসরি পর্ষদকে সাসপেনশনের সুপারিশ করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement