Cocaine smuggling

‘গুডলাক’ গ্রেফতার! দেশে কোকেন পাচারের অন্যতম পাণ্ডাকে হরিয়ানা থেকে ধরে আনল রাজ্য পুলিশ

শিলিগুড়িতে কোকেন পাচারের ঘটনায় হরিয়ানা থেকে নাইজেরিয়ার এক যুবককে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৫২
Share:
‘গুডলাক’ গ্রেফতার!

‘গুডলাক’ গ্রেফতার! —নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়িতে কোকেন পাচারের ঘটনায় হরিয়ানা থেকে নাইজেরিয়ার এক যুবককে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। ‘গুডলাক’ নামে পরিচিত নাইজেরিয়ার সেই যুবককে ট্রানজিট রিমান্ডে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয় বৃহস্পতিবার। এর পর তাঁকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে হাজির করিয়ে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘গুডলাক’ চিমজি মাওয়াকমা, জিয়াদ আব্বাস, জিকো নামেও পরিচিত। গত প্রায় ১২ বছর ধরে ভারতে রয়েছেন তিনি। হরিয়ানা থেকে দেশ জুড়ে কোকেনের কারবার চালানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসটিএফ সরতাজ আলম নামে এক কাপড়ের ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাসান মোক্তান নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পাসানের থেকেই পুলিশ গুডলাকের কথা জানতে পারে। এর পর হরিয়ানায় গিয়ে খদ্দের সেজে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে পুলিশ তিনটি জাল পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, আফ্রিকা থেকে চোরাপথে কোকেন ভারতে আনা হত। এর পর সেই কোকেন পাঠানো হত দেশের নানা জায়গায়। মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েক জনের নাম জানতে পেরেছে এসটিএফ।

Advertisement

সরকারি আইনজীবী নিলয় রায় বলেন, ‘‘মহম্মদ সারতাম আলমকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করার পর তার কাছ থেকে পাসান মোক্তানের নাম পাওয়া যায়। তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে এই চিমজি মাওয়াকমা ওরফে গুডলাকের নাম পায় এসটিএফ। হরিয়ান থেকে তাকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে এসে শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েক জনের নাম উঠে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement