রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠনে অ্যাড হক কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আগামী বিধানসভা অধিবেশনেই আলোচনা করতে চাইছে সরকার। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পরেই বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। সোমবার পার্থ বলেন, ‘‘২০১১ সালের ২৩ অগস্ট বিধানসভায় বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। এর পর অ্যাড হক কমিটিও তৈরি হয়েছিল। সেই কমিটি একটি রিপোর্ট দিয়েছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আলোচনা হবে। আগামী ৬ জুলাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে ওই আলোচনা হবে। আলোচনার জন্য কমিটির রিপোর্ট পরিষদীয় দল মারফত বিধায়কদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’
আগামী ২ জুলাই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেই অধিবেশন শেষ হবে ৯ জুলাই। কোনও রাজ্যের মোট বিধায়ক সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ হতে পারে বিধান পরিষদের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা। সেই হিসাবে বাংলায় বিধান পরিষদের সদস্য হতে পারেন সর্বোচ্চ ৯৮ জন।
রাজ্যে বিধান পরিষদ তৈরি করতে গেলে সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করাতে হয়। সে জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার পাশাপাশি সংসদের দুই কক্ষেও ওই বিল পাশ করানোর প্রয়োজন। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণার সময় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিধানসভা ভোটে যাঁরা লড়বার সুযোগ পাননি, আগামী দিনে রাজ্যে বিধান পরিষদ গড়ে তাঁদের ‘পুনর্বাসন’ দেওয়া হবে। তৃণমূল রাজ্যে তৃতীয় বার সরকার গঠনের পর ফের তৎপর শাসকদল।
সারা ভারতে এখনও পর্যন্ত ৬টি রাজ্যে বিধান পরিষদ আছে— বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটক। এর মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় গত বছর বিধান পরিষদ অবলুপ্তির প্রস্তাব পাশ হয়। তবে সেই প্রস্তাব এখনও সংসদের অনুমোদন পায়নি।