Annular Solar Eclipse

করোনা ঠেলেই গ্রহণ দর্শন, পাশাপাশি রইল কুসংস্কারও

ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধিকর্তা সন্দীপ চক্রবর্তী সদলবলে ছিলেন ইএম বাইপাসে মুকুন্দপুরে সংস্থার নতুন ক্যাম্পাসে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২০ ০৫:২৭
Share:

এ রাজ্যের উলুবেড়িয়া থেকে আংশিক গ্রহণ। সুব্রত জানা

মারণ ভাইরাসের দাপটে কলকাতায় বহু কর্মী বাড়িতে আটকে পড়ায় রবিবার পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ শিবির করা যায়নি।

Advertisement

তবে সংস্থার অধিকর্তা সঞ্জীব সেন এবং অন্য কর্মীরা বাড়ি থেকেই গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন, সংবাদমাধ্যমে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। সাধারণ মানুষও নিজের মতো গ্রহণ দেখেছেন। বাধা বলতে ছিল মেঘ।

ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধিকর্তা সন্দীপ চক্রবর্তী সদলবলে ছিলেন ইএম বাইপাসে মুকুন্দপুরে সংস্থার নতুন ক্যাম্পাসে। ওয়েব-সম্প্রচার করেছে বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজিক্যাল মিউজ়িয়াম। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে শিবির করে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ-সহ বিভিন্ন সংগঠন। মানুষকে গ্রহণ-রহস্যের বিজ্ঞান বুঝিয়েছে তারা। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সহ-সম্পাদক মিলন গাইনের বক্তব্য, মহাজাগতিক ঘটনার বৈজ্ঞানিক কারণ না-জানলে সমাজ কুসংস্কারমুক্ত হবে না।

Advertisement

তবে সমাজের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ বিজ্ঞানমনস্ক হয়েছে কি না, প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। খড়্গপুরে এক রেলকর্মী গ্রহণের জন্য নির্জলা দিন কাটান। বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর, ময়ূরেশ্বর, মহম্মদবাজার, সাঁইথিয়া, আমোদপুর, নানুর এবং বোলপুরে গ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা ছিল। বিজ্ঞান মঞ্চের বোলপুর শাখার সম্পাদক সুশীলকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘সংস্কার দূর করতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচার চলছে। এ বার প্রচুর মানুষ প্রচারে সাড়াও দিয়েছেন।’’

পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র প্রোজেক্টরে গ্রহণ দেখিয়েছে। জেলা বিজ্ঞান আধিকারিক নিখিলেশ বিশ্বাস জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে কাউকে কেন্দ্রে আসতে দেওয়া হয়নি। তবে ছাত্রছাত্রীরা যাতে বঞ্চিত না-হয়, সেই জন্য অনলাইনে পুরোটা দেখানো হয়েছে। তবে সকাল থেকেই বৃষ্টি চলায় সে-ভাবে গ্রহণ দেখা যায়নি। দুর্গাপুরে এ বার গ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা করেনি কোনও সংগঠন। তবে মেঘ সরতেই মানুষজন এক্স-রে প্লেট, চশমা নিয়ে গগনমুখী হন। একই ছবি আসানসোলেও। মিঠানিতে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ খুদেদের টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল।

জলপাইগুড়ির সুনীলবিকাশ পাল ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের বাড়ির ছাদে গ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা করেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গুজবের প্রভাবও ছিল। গ্রহণে করোনার প্রকোপ কমবে বলেও গুজব ছড়ায়। শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার— গ্রহণের সময় রাস্তাঘাট জনশূন্য ছিল। বিভিন্ন বাড়ির রান্নাঘরে তালা।

আরও পড়ুন: ট্রেনে তৈরি-খাবারে সাড়া, উড়ানে নালিশ বৈষম্যের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement