—নিজস্ব চিত্র।
দুপুরেই মমতার গড়ে ঢুকে তা দখলের হুঁশিয়ারি। সন্ধ্যায় রাজ্যবাসীর কাছে ভোটভিক্ষা। ২০১৯-এর ভোটের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিল বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনের এখনও বছর দু’য়েক দেরি। তা সত্ত্বেও এটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
খাস কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে ঝটিতি সফরের পর বুধবার সন্ধ্যায় মহাজাতি সদনে উপচে পড়া ভিড়ে অমিত শাহের গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। সাহিত্যিক শঙ্কর, কবি বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী-সহ শহরের বিশিষ্টজন, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ, দলীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে আস্থা জাহির করা থেকে শুরু করে আসন্ন নির্বাচনের জন্য জমি তৈরি করা— অমিত শাহ এ দিন সমস্ত দিকই ছুঁয়ে গেলেন।
আরও পড়ুন
‘ভবানীপুরেও পদ্ম ফুটবে’, মমতার ডেরায় হুঙ্কার অমিতের
মহাজাতি সদনে অমিত শাহের সভায় ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল বা কংগ্রেসের সঙ্গে দলের তুলনা টেনে অমিতের দাবি, “একমাত্র বিজেপি-রই সাংগঠনিক কাঠামো গণতান্ত্রিক।” কেন? সে প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন অমিত নিজেই। তিনি বলেন, “তৃণমূল বা কংগ্রেস ব্যক্তিতান্ত্রিক। সে কারণেই সনিয়া গাঁধী বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গিয়েই বিজেপি-র সভাপতি বাছাই হয়।” দল ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতেও পিছপা হননি অমিত। নোট বাতিল নিয়ে মমতার বিক্ষোভকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। জাল নোটের কারবারিদের আড়াল করতেই মমতার এত চেঁচামেচি সে দাবিও করেন অমিত। আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি-কেই নির্বাচিত করার আর্জিও রাজ্যবাসীর কাছে রাখেন অমিত। তাঁর সরাসরি অনুরোধ, “তৃণমূলকে পরাস্ত করে বিজেপি-কে ভোটে জেতান।”